নারায়ণগঞ্জে দগ্ধ ৮ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে বাড়ির সবকিছু। একজন মারা গেছেন। দগ্ধ সাতজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। ছবি: প্রথম আলো
নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে বাড়ির সবকিছু। একজন মারা গেছেন। দগ্ধ সাতজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার সাহেবপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আটজনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকি সাতজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে দুজন শিশু। আজ সোমবার ভোরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে

সকালে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুর জাহান বেগম । সেখানে চিকিৎসাধীন নুর জাহানের ছেলে কিরণ মিয়া , কিরনের ছেলে আবুল হোসেন (২২) ও আপন (১০), কিরণের ছোট ভাই হিরণ মিয়া (২৮), তাঁর স্ত্রী মুক্তা (২১), মেয়ে ইলমা (৩), তাঁদের ভাগনে কাওসার মিয়া (১৬)। 


হাসপাতাল সূত্র বলছে, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওই এলাকায় ফারুক হোসেনের মালিকানাধীন পাঁচতলা ভবনের নিচতলার ভাড়াটিয়া কিরণ মিয়ার ফ্ল্যাটে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে আগুন লেগে দগ্ধ হন ওই পরিবারের দুই শিশুসহ ৮ জন। আগুনে ওই ফ্ল্যাটের নিচতলার সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

প্রতিবেশীরা দগ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বার্ন ইউনিটে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।

দগ্ধ ব্যক্তিদের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, ওই এলাকায় দিনের বেলায় গ্যাস থাকে না। গভীর রাতে গ্যাস আসে। এ কারণে অনেকে গ্যাস আসার অপেক্ষায় চুলার চাবি অন করে রাখেন। ওই দিন রাতে তাঁরা গ্যাসের চাবি অন করে রাখলে পুরো ঘরে গ্যাস জমে যায়। সকালে রান্না করার জন্য চুলা জ্বালাতে গেলে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুন লাগে। বাড়ির কর্তা কিরণ মিয়া গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ব্যবসা করেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, গ্যাসের পাইপলাইনের চুলার চাবি অন করা ছিল। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় পুরো ঘরে গ্যাস জমে যায়। ভোরে চুলায় আগুন জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ ৮ জন দগ্ধ হয়েছে। ঘরের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। ঘরের আসবাবপত্রসহ সব মালামাল পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা গিয়ে আগুন নেভায়।