মালয়েশিয়াগামী সেই ট্রলার থেকে কল গিয়েছিল ৯৯৯ নম্বরে
কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী সেই ট্রলারডুবির সময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন এক যাত্রী। এরপর কোস্টগার্ড বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত ১৫ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করার খবর পাওয়া গেছে।
উদ্ধার হওয়া যাত্রী ও কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, ছেঁড়া দ্বীপের কাছে পৌঁছালে পাথরে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা অনুসন্ধান চালিয়ে ৭২ জনকে জীবিত এবং ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করেন। ওই ট্রলারে ১৩৮ যাত্রী ছিলেন।
কোস্টগার্ডের তৎপরতায় জীবিত উদ্ধার ৭২ যাত্রীর মধ্যে একজন হলেন মো. আবদুল্লাহ (২৮)। তিনি উখিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা বলে দাবি করেন। আবদুল্লাহ বলেন, সোমবার রাতে মালয়েশিয়াগামী অধিকাংশ যাত্রীকে টেকনাফ উপজেলার নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকা থেকে ছোট ছোট নৌকায় করে দালালেরা বড় একটি ট্রলারে তোলেন। ওই সময় আরও দু-একটি পয়েন্ট দিয়ে যাত্রী তোলা হয়। ভোরে সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ছেঁড়া দ্বীপের কাছে পৌঁছালে ট্রলারটি পানির নিচের পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তলা ফেটে যায়। এতে ট্রলারে পানি উঠতে থাকে। ওই সময় ট্রলারে থাকা নারী, শিশু ও পুরুষেরা ভয়ে কাঁদতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ধারের সহযোগিতা চেয়ে দালালের এক আত্মীয় কাছে তিনি (আবদুল্লাহ) ফোন করেন। ওই আত্মীয় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার জন্য পরামর্শ দেন। এরপর ৯৯৯ ফোন করে যাত্রীদের বাঁচানোর জন্য আকুতি জানান তিনি। এ সময় জরুরি কল সেন্টার থেকে টেকনাফের কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট সোহেল রানার নম্বর দেওয়া হয়। পরে ওই নম্বরে কল দিয়ে বাঁচার আকুতি জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে উদ্ধারকারী কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, মালয়েশিয়াগামী এক যাত্রী ফোনে কান্নাকাটি করে বাঁচার জন্য আকুতি জানান। তাঁরা অবৈধভাবে মালয়েশিয়াতে যাচ্ছিলেন। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে গিয়ে জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে।