পেঁয়াজের জোগান কম, আবার বাড়ছে দাম
বাজারে আগাম জাতের পেঁয়াজের জোগান কমে যাওয়ায় পাবনায় আবারও এর দাম বাড়তে শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহেই কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্চের দিকে হালি পদ্ধতির পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম স্থিতিশীল হবে না।
গত বছরের শেষ দিকে জোগান না থাকায় পেঁয়াজের দাম প্রায় ৩০০ টাকা ছুঁয়েছিল। ২০১৯ সালের অক্টোবরে শুধু পাবনার সাঁথিয়া উপজেলাতেই প্রায় ১৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়। সাঁথিয়ার ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বেশি থাকায় চলতি বছরের শুরু থেকেই বাজারে উৎপাদিত পেঁয়াজের পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে ফেব্রুয়ারিতে এসে দামও বাড়তে শুরু করেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগাম জাতের পেঁয়াজ জমি থেকে তোলার পর কৃষকেরা বেশির ভাগই বিক্রি করে দিয়েছেন। অল্প কিছু পেঁয়াজ কৃষকেরা হাতে রেখে বাজার বুঝে তা হাটে নিয়ে আসছেন। এর ফলে সাঁথিয়ার পাইকারি পেঁয়াজের হাটগুলোতে দুই থেকে তিন দিন ধরে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সাঁথিয়ার প্রধান পাইকারি বাজার করমজা হাট ঘুরে জানা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ এখন ১১০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত শনিবারও দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। হাটের পেঁয়াজের আড়ত মুন্নাফ ট্রেডার্সের মালিক আবদুল মুন্নাফ ও খান ট্রেডার্সের মালিক মানিক হোসেন জানান, এই সময়ে হাটে ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক (প্রতি ট্রাকে ১৫ টন) পেঁয়াজ আসার কথা। অথচ আসছে চার থেকে পাঁচ ট্রাক পেঁয়াজ। এতেই বোঝা যায়, আগাম জাতের পেঁয়াজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। তাই হালি পদ্ধতির নতুন পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
হাটে পেঁয়াজ নিয়ে আসা উপজেলার মহিষাকোলা গ্রামের এরশাদ আলী বলেন, ‘চার-পাঁচ দিন আগে জমির সব পেঁয়াজ তুইল্যা ঘরে রাখছিল্যাম। আইজ দাম বেশি দেইখ্যা বাজারে আনছি। এখন আর কারও জমিতেই আগাম পেঁয়াজ নাই।’
সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কৃষকেরা এখন হালি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষ করছেন। এই পদ্ধতিতে ১৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, আগাম জাতের মতো হালি পেঁয়াজের ফলনও ভালো হবে। মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে।