দুই সিটিতে আ.লীগের বিপুল জয় দেখছেন জয়

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের বিপুল জয় হবে বলে নিজের করা জরিপের ওপর ভিত্তি করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁর ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে গতকাল বৃহস্পতিবার এই জরিপের ফল তুলে ধরেন জয়।
ফেসবুক পেজে জয় তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এর মেয়র নির্বাচন নিয়ে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে একটি জনমত জরিপ করিয়েছিলাম। উত্তরের ভোটারদের মধ্যে জরিপে অংশ নেন ১৩০১ জন ও দক্ষিণে অংশ নেন ১২৪৫ ভোটার। ভোটার লিস্ট থেকে র্যান্ডম স্যাম্পলিংয়ের মাধ্যমে তাদের বাছাই করা হয়। জরিপটি করা হয় সামনাসামনি, অর্থাৎ, অনলাইনের মাধ্যমে নয়। মক ব্যালটের মাধ্যমে এই জরিপটি করার কারণে আমরা বা জরিপকারী কারোরই জানার সুযোগ থাকে না কে কাকে ভোট দিল। জরিপ করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নির্ভুল পদ্ধতি এটি। নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় মানুষ জরিপে অংশগ্রহণ করতে পারে। তারপরেও যারা কোনো অপশনই বেছে নেয় না তাদের ভোট দেওয়ার সম্ভাবনাই কম কারণ সাধারণত কোনো নির্বাচনেই ১০০% ভোট পড়ে না। এই জরিপের ফলাফল ভুল হওয়ার সম্ভাবনা +-৩ %।’
জয় জানান, জরিপটি করা হয় যখন দলগুলো তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। তাই জরিপের সঙ্গে আসল ফলাফলের কিছুটা পার্থক্য হতেই পারে। তার পরও সেই পার্থক্য ৫-১০ শতাংশের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারণ মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ১০% এর বেশি ভোট কোনো দলের পক্ষেই পরিবর্তন করে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসা কঠিন। তাই এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় শুধু নিশ্চিতই নয়, ব্যাপক ব্যবধানে জয়ও নিশ্চিত।
জয় পরিচালিত জরিপের ফল হলো, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নুর তাপসের পক্ষে সমর্থন আছে ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটারের। এ সিটিতে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পক্ষে সমর্থন আছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এ সিটির প্রায় ১৭ শতাংশ ভোটার ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলামের পক্ষে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে। বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আওয়ালের পক্ষে আছেন ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার। এ সিটিতে যখন জরিপ চালানো হয়, তখনো ২৫ শতাংশ ভোটার ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি।