করোনাভাইরাস আতঙ্কে চীন থেকে ফিরতে আগ্রহীদের নিবন্ধন শুরু
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনায় চীন থেকে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধনের কাজ শুরু করেছে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ কী ধরনের উড়োজাহাজ পাঠাবে, তা-ও জানতে চেয়েছে চীন। তবে চীনের সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক বিধিনিষেধের কারণে তাঁদের আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির আগে দেশে ফেরানো যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশ এরই মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। এ জন্য দেশের সব কটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশাপাশি সমুদ্র ও স্থলবন্দরে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া সব জেলা হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড করার জন্য সিভিল সার্জনদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিকেল পর্যন্ত চীন থেকে সরাসরি বাংলাদেশে এসেছেন ২ হাজার ৮৭০ জন যাত্রী। তাঁদের কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হননি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৯ জানুয়ারি চীনের উহানে প্রথম এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। গতকাল মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আর রোববার পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ছিলেন ২ হাজার ৮৩৫ জন। এক দিনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫১৫ জনে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে এরই মধ্যে উহান ও আশপাশের ১৬টি শহরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে চীনের কর্তৃপক্ষ।
>স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে, ৬ ফেব্রুয়ারির আগে ফেরানো যাবে না। বাংলাদেশ কী ধরনের উড়োজাহাজ পাঠাবে, জানতে চেয়েছে চীন।
জানতে চাইলে চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান গতকাল সন্ধ্যায় বেইজিং থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, দেশে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের নিবন্ধনের কাজ গতকাল শুরু হয়েছে। এ জন্য হুবেইয়ের প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় আবেদনের ছক পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি সবশেষ পরিস্থিতির হালনাগাদ জানতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হয়েছে।
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, গত বছর বাংলাদেশের প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী চীনে পড়তে গেছেন। একই সময় বাংলাদেশের ৩৭ হাজার নাগরিক চীনে ভ্রমণ করেছেন।