জ্বর-কাশি নিয়ে রাজধানীর হাসপাতালে চীনা নাগরিক ভর্তি

জ্বর ও কাশি নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে আজ সোমবার দুপুরে এক চীনা নাগরিক ভর্তি হয়েছেন। সম্ভাব্য নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত—এমন বিবেচনায় তাঁকে একটি বিশেষ কক্ষে রাখা হয়েছে। তবে এখনো তাঁর ভাইরাস পরীক্ষা হয়নি।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা প্রথম আলোকে আজ সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা ওই রোগীর বিষয়ে শুনেছি। কিন্তু এখনো তাঁর লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।’

হাসপাতালের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আজ বেলা আড়াইটার দিকে ওই চীনা নাগরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তাঁর জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট ধরা পড়ে। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁকে বাতাসে ঋণাত্মক চাপ আছে—এমন একটি রুমে রাখা হয়েছে। এই রুমের বাতাস বাইরে যায় না।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই চীনা নাগরিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে, তিনি এ মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে ঢাকায় এসেছেন।

চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মৃত মানুষের সংখ্যা ৮০ ছুঁয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে এই ভাইরাসে প্রায় ৩ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। আজ বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন আজ জানায়, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে মৃত মানুষের সংখ্যা ৫৬ থেকে বেড়ে ৭৬ হয়েছে। বাকি ৪ জন অন্যত্র মারা গেছে।

চীনের বাইরে ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত করা গেছে। চীনের বাইরে সারা বিশ্বে ২ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে।