কুমড়া শিরোধার্য
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের প্রচার দিনে দিনে বেশ জমে উঠেছে। নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে সভা, গণসংযোগ, মিছিলে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।
এমনই এক প্রচারমিছিলে গতকাল রোববার কল্যাণপুর ও পাইকপাড়ায় দেখা গেল লালচে হলুদ রঙের বিশাল আকারের এক মিষ্টিকুমড়া মাথায় তুলে মিছিলের অগ্রভাগে বীরদর্পে হাঁটছিলেন এক সমর্থক। কথা বলে জানা গেল, তাঁর নাম আল মামুন। শিরোধার্য করে তাঁর এই কুমড়া বাহন–কাণ্ড লোকজনকে বেশ কৌতূহলী করে তুলেছিল। অনেকেই এসে কথাবার্তাও বলছিলেন তাঁর সঙ্গে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী দেওয়ান আবদুল মান্নানের নির্বাচনী প্রতীক মিষ্টিকুমড়া। তাঁর পক্ষে প্রচার করতেই আল মামুন বাজার থেকে একটি ২৫ কেজি ওজনের মিষ্টিকুমড়া কিনে অংশ নিয়েছেন প্রচারমিছিলে। এই কুমড়ার দাম পড়েছে ৬০০ টাকা। আল মামুন বলেন, শেখ ফরিদ নামের কাউন্সিলর প্রার্থী দেওয়ান মান্নানের আরেক সমর্থক সপ্তাহখানেক আগে এই কুমড়াসহ আরও কয়েকটি বড় কুমড়া কিনেছেন। সেগুলো নিয়ে প্রচারেও অংশ নিচ্ছেন প্রতিদিন।
ভারী এই কুমড়া নিয়ে প্রচারে হাঁটতে কষ্ট হয় কি না, জানতে চাইলে আল মামুন বলেন, ‘কুমড়ার প্রতীকের প্রার্থীকে জেতাতে কষ্ট করছি। সে তুলনায় এই কুমড়া মাথায় নিয়ে হাঁটা কিছু না।’
সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। তবে খাদ্যদ্রব্য নিয়ে প্রচারের বিষয়ে এখানে কিছু বলা নেই।
এ বিষয়ে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী দেওয়ান আবদুল মান্নান বলেন, ‘আল মামুন নামের যে ছেলেটি বড় ভারী মিষ্টিকুমড়া মাথায় নিয়ে ঘুরেছে, তাকে আমি চিনি না। তার সঙ্গে কথা বলে জেনেছি সে একজন রিকশা-ভ্যানচালক। আমার প্রতি সমর্থন ও ভালোবাসা প্রকাশে এই কুমড়া নিয়ে প্রচারে অংশ নিয়েছে। তবে আমি তাকে বলেছি, যে এটি কিনেছে তা ফেরত দিয়ে যেন টাকা নিয়ে নেয় কিংবা রান্না করে খায়। না হলে এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, মানুষের সমর্থনকে তিনি সম্মান জানান। তবে এমন একটি ভারী ও খাদ্যবস্তু নিয়ে বহন করার কাজে তাঁকে উৎসাহ দেন না। এতে অন্যদের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।