ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
‘এসো মিলি প্রাণে প্রাণে...’ এই স্লোগানকে ধারণ কয়েক হাজার নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরত হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। সকালে পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাজাহান আলী। এরপর আনন্দ শোভাযাত্রা অংশ নেন বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। শোভাযাত্রাটি ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শহর প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ, আড্ডা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদ্যাপন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির শতবর্ষ পূর্তি উৎসব।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-১ আসনের (নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী) সংসদ সদস্য মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলী, জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, জেলা পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী, ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন শতবর্ষপূর্তি উৎসব উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর মোজাম্মেল হক।
প্রসঙ্গত, ১৯২০ সালে ভূরুঙ্গামারী মাইনর ইংলিশ স্কুল (৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত) প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৩৪-৩৫ সালে নলেয়া মৌজায় জমি ক্রয় করে স্কুলটিকে পূর্ণাঙ্গ হাই স্কুল হিসেবে চালু করা হয়। ওই সময় হাই স্কুলটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি লাভ করে। নদী ভাঙনের ফলে ১৯৬৪-৬৫ সালে স্কুলটিকে বর্তমান স্থান আনা হয় এবং ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিতি লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ২৮ মে স্কুলটিকে সরকারি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে স্কুলটির নামকরণ হয় ভূরুঙ্গামারী পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।