নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখছি না: তাপস
নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ (লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড) বিদ্যমান রয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা দেখছি না। প্রতিটি এলাকায় তাদের (বিএনপির) যথেষ্ট পোস্টার রয়েছে। সবাই নিয়মিত জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে।
আজ রোববার আরামবাগ এলাকায় নটর ডেম কলেজের সামনে নির্বাচনী প্রচার শুরু করার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শেখ ফজলে নূর। এরপর পথসভায় তিনি বলেন, ঢাকার উন্নয়ন নিয়ে পাঁচ ধাপের রূপরেখা সবাই সাদরে গ্রহণ করেছে। প্রতিদিন জনগণের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পারিবারিক স্মৃতিবিজড়িত আরামবাগ এলাকা থেকে দশম দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী। তিনি বলেন, তাঁর দাদা আরামবাগে বাড়ি করেছেন। এখানে তাঁর বাবা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি বেড়ে উঠেছেন। নিজেরও শৈশবের অনেক স্মৃতি আছে এখানে। এ এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এখানে জলাবদ্ধতার সমস্যা আছে। মহাপরিকল্পনায় এ এলাকা নিয়ে তাঁর আলাদা পরিকল্পনা থাকবে।
সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন আরামবাগ এলাকায়। বেলা একটার কিছুটা আগে এখানে আসেন শেখ ফজলে নূর। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিরলসভাবে পরিশ্রম করছেন। আপনাদের অনুরোধ করছি, আমাকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেন, আগামী ৫ বছর আমি আপনাদের দেব। নিষ্ঠা-সততার সঙ্গে ঢাকাবাসীর জন্য কাজ করব। উন্নত ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, যাতে যানজট সৃষ্টি না হয়। রাস্তাগুলো ছেড়ে দেবেন। নাগরিকদের ভোগান্তি যেন না হয়।’
শেখ ফজলে নূর বলেন, ‘ঢাকাবাসীর ঘরে ঘরে যাব। রাত পর্যন্ত আমাদের গণসংযোগ চলবে। যত বেশি গণসংযোগ করতে পারব, মানুষের দোরগোড়ায় যেতে পারব, মানুষের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছাতে পারব, তত বেশি ব্যবধান বৃদ্ধি পাবে। ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় সব সেবা পৌঁছে দিতেই এই নবসূচনা, নবযাত্রা। ভোটারদের উদ্দেশে তাঁর পাঁচ ধাপের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি। ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা গড়ে তুলতে ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।’
ভোটের কারণে এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে শেখ ফজলে নূর বলেন, ভোট পেছানোয় প্রচারের সময় বেড়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছি। আগে থেকেই এটি করা হলে ভালো হতো।