মেট্রোরেল ২০৩০ সালে ঢাকার চিত্র বদলে দেবে: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মেট্রোরেল ২০৩০ সালে ঢাকা শহরের যান চলাচলের চিত্র বদলে দেবে। রাজধানীর দিয়াবাড়িতে আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মেট্রোরেল উত্তরা ডিপোতে দেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইনের ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেম ও রেললাইন স্থাপন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের ৮ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৪০ ভাগ। মেট্রোরেল তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের প্রকল্প। ২০২১ সালে বিজয়ের মাসে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৬ উদ্বোধন করা হবে। মেট্রোরেল ২০৩০ সালে ঢাকা শহরের যান চলাচলের চিত্র বদলে দেবে। এই সময়ের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এসব এমআরটি লাইন চালু হলে ঢাকা শহরে অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্যপট তৈরি হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরই এমআরটি লাইন-১ ও ৫ এর কাজ শুরু হবে। সঙ্গে থাকবে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পাতালরেল। ইতিমধ্যে ডিপিপি অনুমোদন হয়েছে। তাই কাজ দ্রুত শুরু করতে কোনো বাধা নেই। মেট্রোরেল প্রকল্প এলাকায় যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে, বাইরে থেকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। অথচ তিন বছর আগেও এখানে বিরানভূমি ছিল। মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। ৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার মেট্রোরেল এখন দৃশ্যমান হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সব মেগা প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়েই সম্পন্ন হবে। আগের চেয়ে বাস র্যাপিড ট্রানজিটের গতি বেড়েছে। কর্ণফুলী টানেলের কাজ ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মাসেতুর কাজ ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সুতরাং মেট্রোরেলও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা সম্পন্ন করতে পারব।’
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড দেশের প্রথম এই মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের দিনে সরকার বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার মেট্রোরেল মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এর ফলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সহজেই লোকজন যাতায়াত করতে পারবে।
ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেম ও রেললাইন স্থাপন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামসহ মেট্রোরেল প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।