৯৯৯-এ জানানো হলো দুস্থদের চাল ফার্নিচারের দোকানে
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় দুস্থদের জন্য বরাদ্দ ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির চাল একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে জব্দ করা হয়েছে। উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে এ চাল আত্মসাৎ করে বিক্রির জন্য দোকানে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কেউ একজন বিষয়টি জানানোর পর অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণতি বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশ গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর বাজারের একটি ফার্নিচারের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৭ বস্তা (২১০ কেজি) সরকারি চাল জব্দ করেছে।
জব্দ করা চাল ইউপি চেয়ারম্যান ডা. দেলোয়ার হোসেনের জিম্মায় রেখে বিষয়টি তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ইউএনও কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, গতকাল ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানানো হয়, ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন নারায়ণপুর বাজারের রতন সমদ্দারের ফার্নিচারের দোকানে ভিজিএফের ৭ বস্তা চাল জমা করেছেন। ফোন পেয়ে ইউএনও প্রণতি বিশ্বাস, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা অয়ন সাহা ও উজিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিকসহ একটি দল ফার্নিচারের দোকানটিতে অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭ বস্তায় ২১০ কেজি চাল জব্দ করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন সরকারি চাল আত্মসাৎ করে গোপনে বিক্রির জন্য ওই দোকানে রেখেছিলেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘ওই চালের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সুবিধাভোগীরা তাদের চাল ওখানে রেখে থাকতে পারেন। আমার প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনায় আমাকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র করছে।’
ফার্নিচার দোকানের মালিক রতন সমাদ্দার বলেন, ‘মোজাম্মেল মেম্বার চাল রেখেছিলেন।’
ইউপি চেয়ারম্যান ডা. দেলোয়ার হোসেন চাল জিম্মায় রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও প্রণতি বিশ্বাস বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।