ফকিরাপুলের চিলেকোঠায় নারী-পুরুষের লাশ
রাজধানীর ফকিরাপুলের একটি পাঁচ তলা ভবনের চিলেকোঠায় এক নারী ও এক পুরুষের মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পুরুষটির লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় ও নারীর লাশ প্লাস্টিকের ড্রামে ছিল।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সন্ধ্যার দিকে লাশ দুটি দেখতে পায় ভবনটির ব্যবসায়ীরা। পুরো ভবনটিই বাণিজ্যিক কাজে বিশেষ করে প্রেস অ্যান্ড প্রিন্টিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হতো। ভবনটি ফকিরাপুল কাঁচাবাজার এলাকার ৫৫ কমর উদ্দিন লেনে অবস্থিত।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম শহীদুল ইসলাম (৩০) বলে ব্যবসায়ীরা নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন শহীদুল ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। নিহত নারী তাঁর স্ত্রী বলে তাঁদের ধারণা করছে পুলিশ।
শহীদুলের লাশটি চিলেকোঠায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা ছিল। আর ছাদে একটি প্লাস্টিকের ড্রামে ওই নারীর লাশ ছিল। ড্রামটির মুখ সিমেন্ট দিয়ে আটকানো ছিল। তবে ড্রাম ফেটে লাশের অংশ বিশেষ বেরিয়ে আসে। লাশে পচন ধরেছে, গন্ধ বের হচ্ছে।
শহীদুলের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, অন্য কেউও তাদের হত্যা করে চিরকুট লিখে থাকতে পারে। তাই এখনই এই হত্যাকাণ্ডের কারণ বলা যাচ্ছে না।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, লাশ দুটি পাওয়া গেছে। ওই লেখা শহীদুলের কিনা তা নিশ্চিত নয়। তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। অন্য কেউও এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
ভবনটির একজন ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, গত রোববার থেকে ভবনে পানি সরবরাহ বন্ধ। ছাদে ওঠার কলাপসিবল বন্ধ। ফলে বুধবার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে পুলিশের অনুমতি ক্রমে সন্ধ্যায় ওই কলাপসিবল গেট ভাঙা হয়।
ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, ভবনটির মালিক মুহিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। বাড়ি সিলেটে। শহীদুলের বাড়িও সিলেটে। গত ঈদুল ফিতরে তাঁকে বিয়ে দেন মুহিবুর। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, শহীদুলের স্ত্রী খুব একটি নিচে নামতেন না। শহীদুল ওই ভবনের বিদ্যুতের বিল নিতেন, পানি ছাড়তেন। তবে ফ্ল্যাটগুলোর মূল ভাড়া ব্যবসায়ীরা মুহিবুর রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতেন।