সিলেটে এইচআইভি আক্রান্ত ৫৬ মা জন্ম দিয়েছেন সুস্থ সন্তান
সিলেটে এইচআইভি আক্রান্ত ৫৬ জন মা সুস্থ সন্তান জন্ম দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান।
ইউনুছুর রহমান বলেন, এইচআইভি আক্রান্তদের সেবা দিতে চিকিৎসকেরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের সেবা দিয়ে আমাদের চিকিৎসকেরা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ পর্যন্ত ওসমানী হাসপাতালের সেবার আওতায় এইচআইভি আক্রান্ত ৫৬ জন মা সুস্থ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। সিলেটে এইচআইভি নিয়ে বেঁচে থাকা রোগীরা সারা বছর এই হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধসহ অন্যান্য সেবা নিয়ে থাকেন।
বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আজ রোববার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান। দিবসটি উপলক্ষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সকালে শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
সভায় জানানো হয়, সিলেটে সরকারিভাবে শনাক্ত হওয়া এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫১। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৯৪ জন। বাকিদের মধ্যে ৫০১ জন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে 'এআরটি সেন্টার' থেকে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে যাচ্ছেন।
সভায় আরও জানানো হয়, সরকারি অর্থায়নে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ওষুধসহ অন্যান্য সেবা বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। আক্রান্ত মা থেকে সুস্থ শিশু জন্মের মাধ্যমে ভাইরাসটির নতুন সংক্রমণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় এই দুটি হাসপাতালে পিএমটিসিটি প্রকল্প চলমান আছে। ৫৬ জন আক্রান্ত মা এইআইচভিমুক্ত সন্তান জন্ম দেওয়াটা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সাফল্য।
'পিএমটিসিটি' প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. মোতাহের হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আবাসিক চিকিৎসক আবু নঈম মোহাম্মদ। আলোচনায় অংশ নেন হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এফ এম এ মো. মুসা চৌধুরী, গাইনি বিভাগের প্রধান নাসরিন আক্তার, নবজাতক বিভাগের চিকিৎসক মো. আবদুল হাই মিয়া। সভায় সভাপতিত্ব করেন ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ইউনুছুর রহমান।
বক্তারা বলেন, সিলেট অভিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। তাই এখানে এইচআইভি প্রতিরোধ কার্যক্রমের আঙ্গিক একটু ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, এইচআইভি আক্রান্তদের অবশ্যই বৈষম্যহীনভাবে সেবা দিতে হবে। বিশেষ করে আমাদের সমাজে যেসব ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী রয়েছে, তাঁদের সেবার আওতায় না আনতে পারলে কেউই নিরাপদ থাকতে পারবে না।