চট্টগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহরীরের ১৫ সদস্য গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানে গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর উলাইয়া বাংলাদেশের সদস্য।
গ্রেপ্তার লোকজনের মধে৵ সংগঠনটির চট্টগ্রামের আঞ্চলিক প্রধান আবুল মোহাম্মদ এরশাদুল আলমও (৩৯) রয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে সংগঠনের প্রচারপত্র, ল্যাপটপ, ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, গঠনতন্ত্র ও প্রশিক্ষণের গাইড উদ্ধার করা হয়। এরশাদুল আলম নগরের একটি ইংলিশ স্কুলের বাংলার শিক্ষক।
গ্রেপ্তার বাকি ১৪ জন হলেন আবদুল্লাহ আল মাহফুজ, ইমতিয়াজ ইসমাঈল, নাজমুল হুদা, লোকমান গণি, মো. করিম, আবদুল্লাহ আল মুনিম, নাছির উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল হাসান, আরিফুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন, ফারহান বিন ফরিদ, আজিমুল হুদা, ওয়ালিদ ইবনে নাজিম ও মো. সম্রাট।
গ্রেপ্তার লোকজনের মধে৵ নাজমুল হুদা একজন প্রকৌশলী, আবদুল্লাহ আল মাহফুজ একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন, ইমতিয়াজ ইসমাঈল ও আজিমুল হুদা বেকার। বাকিরা নগরের বিভিন্ন কলেজে পড়েন।
নগরের দামপাড়ায় নগর পুলিশের সদর দপ্তরে আজ শনিবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম বলেন, দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন গ্রেপ্তার আসামিরা। তাঁরা স্কুল–কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে দলে ভেড়ান। এ জন্য সন্তানেরা কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, এ ব্যাপারে খোঁজখবর রাখার জন্য অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
আমেনা বেগম আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
অভিযান পরিচালনাকারী নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, হিযবুত তাহরীর নগরের বিভিন্ন স্থানে কলেজ –বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রচার চালায় বলে তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। রাতের বেলায় তারা নগরের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়ে উধাও হয়ে যায়। বিষয়টি নজরদারিতে রাখে পুলিশ। গতকাল জুমার নামাজের পর নগরের আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের সামনে পোস্টার লাগানোর সময় ওয়ালিদ ইবনে নাজিম ও ইমতিয়াজ ইসমাঈলকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরের চান্দগাঁও, বাকলিয়া, বায়েজীদ বোস্তামীসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, তাঁরা সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।