রাজশাহীর এক গুদামেই ৩০০ বস্তা পেঁয়াজ মজুত
রাজশাহীর বাজারে এক ব্যবসায়ীর গুদামেই ৩০০ বস্তা পেঁয়াজের মজুত পেয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই আমদানিকারকের নাম হাসিবুল ইসলাম। তাঁকে প্রতিদিন ৫০ বস্তা করে পেঁয়াজ বিক্রি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে আগামীকাল সোমবার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা করে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামের নেতৃত্বে আজ রোববার বিকেলে রাজশাহীর সাহেব বাজার মাস্টারপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় কিছু ব্যবসায়ী দোকানে তালা দিয়ে সরে যান। এক নারী ক্রেতার কাছে ম্যাজিস্ট্রেট জানতে চান তিনি কী দামে পেঁয়াজ কিনেছেন। ওই নারী বলেন, তিনি সকালে ২২০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন। সকালে আসলেই দেখতে পেতেন। পরে এক দোকানে গিয়ে দুই ঘর ভর্তি পেঁয়াজ পাওয়া যায়। দোকান মালিক আলাউদ্দিনকে ফোন করা হলেও তিনি আসেনি।
ম্যাজিস্ট্রেট নগরের মাস্টারপাড়ার একটি পেঁয়াজের দোকানে গিয়ে জানতে চাইলেন কী দামে তারা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। দোকানি বললেন, ২২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। তাদের মূল্য তালিকাতেও ২২৫ টাকাই লেখা ছিল। তিনি সেটি মুছে দিয়ে ১৮০ টাকা লিখে দেন।
ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবসায়ীদের বলেন, ‘আপনারা মানুষের ওপর জুলুম করবেন না। বেশি দাম চাইলে কেউ পেঁয়াজ কিনবেন না। আমাদের খবর দিবেন।’
আমদানিকারক হাসিবুল ট্রেডার্সে গিয়ে দেখা যায় দোকানটিতে তালা দেওয়া রয়েছে। তখন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের গুদামে গিয়ে দেখেন সেখানেও তালা দেওয়া রয়েছে। পরে তাঁকে ফোন করে ডাকা হয়। তিনি স্বীকার করেন তার গুদামে ৩০০ বস্তা পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। তাঁকে প্রতিদিন ৫০ বস্তা করে বিক্রি করার নির্দেশ দেন। এবং তাকে সর্বোচ্চ পাইকারি দর ১৫০ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহীর প্রত্যেকটি পাইকারি আড়ত পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রত্যেকের ক্রয়মূল্য ও মজুত যাচাই করা হয়েছে। রাজশাহীতে পেঁয়াজ যথেষ্ট পরিমাণে আছে। বাজার তদারকি কর্মকর্তাকে প্রতিদিন বাজার তদারকি করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।