দেশি মাছের ছড়াছড়ি
কুমিল্লার রাজগঞ্জ মাছের বাজারে গত বৃহস্পতিবার বিপুল পরিমাণ দেশি প্রজাতির মাছ দেখা গেছে। পুরো বাজারেই ব্যবসায়ীদের ডালায় সাজানো ছিল মাছের পসরা। অন্যান্য দিনের তুলনায় ক্রেতা কম ছিল। দামও ছিল নাগালের মধ্যে।
চারজন মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, হেমন্তের এই সময়ে খাল, বিল ও জলাশয়ের পানি কমে আসে। এই সময়ে মিঠা পানিতে কার্পজাতীয় মাছ ও বদ্ধ পানিতে কই, শিং, মাগুর, শোল, টাকি মাছ বেশি ধরা পড়ে। কার্তিক মাসের শেষ সময়ে এবং পুরো অগ্রহায়ণ মাসে ধরা পড়বে দেশি প্রজাতির এসব মাছ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর ও আখাউড়া উপজেলার বিল, কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া, দেবীদ্বার, দাউদকান্দি, হোমনা, তিতাস, মুরাদনগর ও মেঘনা উপজেলা থেকে প্রতিদিন ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বাজারে মাছ চলে আসে। এরপর আড়তের ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে মাছ কেনেন। পরে খুচরা বিক্রেতারা ডালায় মাছ সাজিয়ে রাখেন। কেউ বাঁশের তৈরি ঝুড়িতে মাছ রাখেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবারে বাজারে ক্রেতা বেশি থাকে। মাছও বেশি আসে। দামও ভালো পাওয়া যায়।
>খাল, বিল ও জলাশয়ের পানি কমে আসায় প্রচুর দেশি মাছ ধরা পড়ছে
বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাতলা, বেলে, আইড়, মলা, টাকলা, মেনি, বোয়াল, চিংড়ি, কার্প, রুই, মৃগেল, পুঁটি, টেংরা, কই, শিং, মাগুর, শোল, টাকি, কাইক্কা, গুতুম, কালবাউশ, গ্রাসকার্প ও খইয়া মাছের ছড়াছড়ি।