ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুলে' মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ তাণ্ডবে সারা দেশে ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে সবশেষ খবরে জানা গেছে। এর মধ্যে এক শিশুসহ ১১ জন মারা গেছে গতকাল রোববার। দুজন মারা গেছে গত শনিবার। একজন ছাড়া অন্যরা গাছ ও ঘরচাপায় মারা গেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, শরীয়তপুর ও গোপালগঞ্জে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
গাছ চাপা পড়ে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় আলমগীর (৪০) ও দাকোপ উপজেলায় প্রমিলা মণ্ডল (৫২) মারা গেছেন। গাছ চাপায় বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় হীরা বেগম (২৫) এবং রামপাল উপজেলায় কিশোরী সামিয়া (১৫) মারা গেছে। বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় আশালতা দেবী (৬৫), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় হামিদ কাজী (৬৫) এবং পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় ননি মণ্ডল (৫৫) মারা গেছেন। বরগুনা সদর উপজেলার হালিমা খাতুন (৭০) আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অবস্থায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
শরীয়তপুরে মারা যাওয়া দুজন হলেন, নড়িয়া উপজেলার আলী বক্স ছৈয়াল (৬৮) ও ডামুড্যা উপজেলার আলেয়া বেগম (৪৮)। গতকাল বেলা তিনটার দিকে বসতঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়লে তাঁরা মারা যান। এ ছাড়া গাছ চাপা পড়ে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার সাথী বৈদ্য (৬) ও ছাকেন হাওলাদার (৭০) এবং সদর উপজেলার মাজু বেগম (৮৫) মারা যান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সূত্রে মৃত্যুর এসব তথ্যের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে আহত হয়েছে ১৫ জন। তাদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য ছয়জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় পটুয়াখালী ও বাগেরহাটে দুই শিশুর জন্ম হয়েছে। উভয় নবজাতকই ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সেবা পেয়েছে।