সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই: গণপূর্তমন্ত্রী
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘সুপরিকল্পিতভাবে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। দেশে নগরায়ণ বা গ্রামের বিস্তার—কোনো কিছুই অপরিকল্পিতভাবে করা যাবে না। সব ইমরাত নির্মাণ পরিকল্পনার অধীন হতে হবে। শহরের সুবিধা গ্রামের মানুষের কাছে আমরা পৌঁছাতে চাই। তবে গ্রামে বা শহরে যত্রতত্র, যথেচ্ছভাবে ভবন নির্মাণ করে সুপরিকল্পনার ব্যাঘাত সৃষ্টি যাতে না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের উদ্যোগে বিশ্ব নগর-পরিকল্পনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে গণপূর্তমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরাধ্য সাধনা ছিল একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ, যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সব সুযোগ মানুষের জন্য নিশ্চিত হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নান্দনিক ও পরিবেশসম্মত আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য এখন আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
পরিকল্পনার বাইরে কোনো কিছু হতে পারবে না উল্লেখ করে গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘একটা মাস্টারপ্ল্যানের অধীন সমগ্র বাংলাদেশ এগিয়ে চলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিষ্কার নির্দেশনা হচ্ছে গ্রামের কৃষিজমি থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জমিতেও ভবন নির্মাণ বা যেকোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে হলে সেটা পরিকল্পনা অনুযায়ী হতে হবে। এ জন্য আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমরা চাই দেশকে সুসংগঠিতভাবে এগিয়ে নিতে। এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনাবিদদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে আধুনিক নির্মাণ বা পরিকল্পিত যেকোনো সৃষ্টির ক্ষেত্রে পরিকল্পনাবিদদের ভূমিকা রয়েছে।’
শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ড. এ কে এম আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান, রাজউকের নগর–পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শোভাযাত্রায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সদস্যবৃন্দ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী, ব্র্যাক ও সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী টেকসই ও পরিকল্পিত নগরায়ণ নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে বিশ্ব নগর-পরিকল্পনা দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের উদ্যোগে এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ব্র্যাক-আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের সহযোগিতায় ‘জেলা ও উপজেলা শহরের জন্য পরিকল্পনা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে বাংলাদেশে বিশ্ব নগর-পরিকল্পনা দিবস পালিত হচ্ছে।