বিজিএমইএ ভবন ভাঙা নিয়ে জটিলতা
হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয় নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনকে (বিজিএমইএ) ওই ভবন থেকে লিফট, এসিসহ মূল্যবান সব সামগ্রী নিয়ে যেতে দেওয়ার কারণে এ জটিলতা।
ভবনটি ভাঙার জন্য দরপত্রদাতার রাজউকে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। এর বিনিময়ে ভবনটির সব মালামাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পাওয়ার কথা। কিন্তু এখন যেহেতু লিফট, এসিসহ অনেক মূল্যবান সামগ্রী নেই, সে কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আগে তাদের দেওয়া দর কমানোর দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু রাজউক বলছে, দর কমানো সম্ভব নয়। প্রয়োজনে পুনঃ দরপত্র আহ্বান করা হবে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও ঠিকাদারি কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে রাজউক গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরপত্র আহ্বান করে। পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেওয়ার পর ফোরস্টার এন্টারপ্রাইজকে চূড়ান্ত করা হয়। গতকাল শুক্রবার ফোরস্টারের ব্যবস্থাপক নছরুল্লাহ খান প্রথম আলোকে বলেন, বিজিএমইএ ভবনে বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল সংরক্ষিত থাকা অবস্থায় ভবনটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। সেই মতো তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন এবং সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তাঁদের প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। কিন্তু এখন যেহেতু মূল্যবান মালামাল নেই, তাই তাঁরা দর কমানোর অনুরোধ করেছেন। আগামী সোমবার হাতিরঝিল প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের সঙ্গে বসবেন। তাঁরা দরপত্রের কিছু শর্ত শিথিল করারও তাগিদ দেবেন।
>ঠিকাদার দাম কমাতে বলছে
রাজউক বলছে, সম্ভব নয়, প্রয়োজনে পুনঃদরপত্র
এ বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও হাতিরঝিলের প্রকল্প পরিচালক এ এস এম রায়হানুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফোরস্টার এন্টারপ্রাইজ আগের দর কমিয়ে নেওয়ার দাবি করছে। কিন্তু তা আর সম্ভব নয় বলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সব ঠিকঠাক থাকলে সপ্তাহের শেষ দিকে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ শুরু হবে।
এদিকে বিজিএমইএ ভবন থেকে লিফট, এসিসহ প্রয়োজনীয় সব মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিজিএমইএকে ৫ নভেম্বর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। ওই দিন রাত আটটার দিকে রাজউক ভবনের দরজায় সিলগালা করে দেয়।