ধানমন্ডিতে শিল্পপতির বাসায় দুজনকে গলা কেটে হত্যা
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় এক শিল্পপতির ফ্ল্যাটে দুজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর ধানমন্ডি ২৮ নম্বর সড়কের ২১ নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন আফরোজা বেগম (৬৫) ও গৃহকর্মী দিতি (১৭)। ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেরাজ প্রথম আলোকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মনির উদ্দিন নামের এক শিল্পপতির ফ্ল্যাটে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তিনি তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর একজন পরিচালক। তিনি টিনটেক নামের একটি গার্মেন্টসের মালিক। ছয়তলা ভবনটির এফ-৪ ফ্ল্যাটে এই ঘটনা ঘটেছে। ফ্ল্যাটে মনির উদ্দিনের শাশুড়ি ও গৃহকর্মী থাকতেন। ভবনে মনিরের মালিকানাধীন মোট চারটি ফ্ল্যাট আছে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে খবর পেয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ধানমন্ডি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে পুলিশ ভেতরে ঢোকে। ফ্ল্যাটের দুটি আলাদা কক্ষে দুজনের লাশ পাওয়া গেছে। আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে নতুন একজন গৃহপরিচারিকা ওই ফ্ল্যাটে কাজ শুরু করেন। এ ঘটনায় ওই গৃহকর্মী জড়িত কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিল্পপতি মনিরের দেহরক্ষী বাচ্চু ও ভবনের এক নিরাপত্তাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
লাশ দুটি উদ্ধারের পর রাত পৌনে নয়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামত সংগ্রহ শুরু করেছে। পুলিশ পুরো বাড়িটি ঘিরে রেখেছে।
ওই বাসার নিরাপত্তারক্ষী মো. নূরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, শিল্পপতি মনির উদ্দিনের পিএস মো. বাচ্চু বিকেল তিনটার দিকে নতুন এক গৃহকর্মীকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে যান। এর কিছুক্ষণ পর বাচ্চু একা নিচে নামেন। এরপর আবার ওপরে চলে যান। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাচ্চু বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর ওই গৃহকর্মীও বের হয়ে যান। তাঁর সঙ্গে কোনো ব্যাগ বা কিছু ছিল না।
পুলিশ জানায়, সোফার কাছে একজনের লাশ পড়ে ছিল, অন্য জনের লাশ ছিল পাশের কক্ষে।