স্কাউটসের সর্বোচ্চ পুরস্কার পেলেন এম এম ফজলুল হক

এম এম ফজলুল হক
এম এম ফজলুল হক

স্কাউটিংয়ে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার ‘রৌপ্য ব্যাঘ্র’ (সিলভার টাইগার) পেলেন এম এম ফজলুল হক। তিনি বিসিএস (ট্যাকসেশন) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে কর কমিশনার পদে কাজ করছেন। আজ বুধবার বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কাউন্সিলে তিনি পুরস্কার গ্রহণ করেন।

এর আগে ফজলুল হক বিপিএটিসিতে প্রথম স্থান অধিকার করে রেক্টরর্স স্বর্ণপদক (১৯৯৫), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রোভারদের সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রেসিডেন্টস রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৮) এবং বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ রোটারি ক্লাব সভাপতি হিসেবে গভর্নর স্বর্ণপদক (২০০৭-০৮) পান। সমাজসেবায় দেশের ৮১ বছরের রেকর্ড ভেঙে রোটারি ফাউন্ডেশনে মিলিয়ন ডলার তহবিল গঠনে কার্যকর নেতৃত্ব দেন তিনি। রোটারির যুব আন্দোলন রোটার‌্যাক্টে বাংলাদেশের প্রধান ছিলেন (১৯৯৪-৯৫) তিনি।

এম এম ফজলুল হক এসএসসি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ষষ্ঠ স্থান অর্জন করার পর রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে বিএসএস (অনার্স) ও এমএসএস (১৯৮৭) ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে বিসিএস (ট্রেড), বিসিএস (কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট) এবং বিসিএস (ট্যাকসেশন) ক্যাডারে চাকরি করেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের ইংরেজি সংবাদ উপস্থাপক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের মাস্টার অব সিরেমনিসহ বিজয় দিবসের জাতীয় প্যারেডের ধারাভাষ্যকার (২০০৭-০৯) হিসেবে কাজ করেছেন।

স্কাউটিংয়ে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সঙ্গে এম এম ফজলুল হক।
স্কাউটিংয়ে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সঙ্গে এম এম ফজলুল হক।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি শিক্ষকতা ছাড়াও বিপিএটিসি, বিসিএস (কর), বিসিএস (প্রশাসন), পুলিশ স্টাফ কলেজসহ বিভিন্ন বিসিএস প্রশিক্ষণ সংস্থায় নেতৃত্ব এবং আয়কর বিষয়ে অতিথি প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ফজলুল হক।

এর আগে বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় উপকমিশনার (জনসংযোগ ও মার্কেটিং), জাতীয় উপকমিশনার (আন্তর্জাতিক) এবং জাতীয় উপকমিশনার (ফাউন্ডেশন) পদে দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় কমিশনার (ফাউন্ডেশন) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ স্কাউটস ফাউন্ডেশনের রেকর্ড তহবিল সংগ্রহে তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা অব্যাহত আছে। স্কাউটিংয়ে অবদানের জন্য তিনি ন্যাশনাল কমিশনার অ্যাওয়ার্ড (২০০৮), বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি অ্যাওয়ার্ড (২০০৯) এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জাতীয় অ্যাওয়ার্ড ‘রৌপ্য ইলিশ’ (২০১২) পেয়েছিলেন।