'বোতাম চেপে' রাস্তা পার: পথচারীর জন্য ২৮, গাড়ির জন্য ১২৭ সেকেন্ড
রাস্তা পার হতে চাইলে ফুটপাতের পাশে থাকা সংকেত বোতাম চাপতে হবে। এরপর ১২৭ সেকেন্ড অপেক্ষা। এ সময় ডিজিটাল সময় গণনা চলবে আর লাল বাতি জ্বলবে। এরপর জ্বলবে সবুজ রঙের বাতি। জ্বলবে ২৮ সেকেন্ড। সবুজ বাতি পথচারীর পারাপারের সংকেত। এ সময়ের মধ্যেই পার হয়ে যেতে হবে উভয় পাশের পথচারীকে। এরপর আবার লালবাতি জ্বলতে থাকবে।
বৃহস্পতিবার আসাদ অ্যাভিনিউয়ের এসএফএক্স গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে সড়ক পারাপারের পরীক্ষামূলক এই পদ্ধতি চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এর উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। এই পদ্ধতিটি পুশ বাটন টাইম কাউন্ট-ডাউন সিগন্যাল নামে পরিচিত।
এই পদ্ধতিতে সড়ক পার হতে হলে ফুটপাতের এককোণে থাকা ট্রাফিক সংকেতের বোতাম টিপে অপেক্ষা করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করে সবুজ বাতি চলার পর জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হতে হবে পথচারীকে।
‘পুশ বাটন সিগনাল’ চালু উপলক্ষে স্কুলে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পথচারীদের সড়ক পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ডিএনসিসি দেশে প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতি চালু করেছে। পুশ বাটন সিগন্যালে ক্যামেরা লাগানো আছে। এই বোতাম টিপে স্কুলের বাচ্চাদের সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবক ও পথচারীরা সড়ক পার হবে। সে সময় কোনো গাড়ি চলতে পারবে না। সিগনাল না মেনে কোনো গাড়ি যদি চলে তাদের বিরুদ্ধে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রাফিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. ফরিদ উদ্দিন নামের এক অভিভাবক বলেন, বোতাম চেপে সংকেতের মাধ্যমে রাস্তা পারাপারের এই ব্যবস্থা ভালো হয়েছে। তবে এই ব্যবস্থার সঙ্গে গাড়ির চালক ও পথচারীদের অভ্যস্ত করাতে হবে। অনুষ্ঠানে এসএফএক্স গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ সিস্টার ভার্জিনিয়া আশা গোমেজ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ট্রাফিক,পশ্চিম) উপকমিশনার জসিমুদ্দিন মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে এই সংকেত বাতির অর্থায়ন করেছে ডিএনসিসি। এর কারিগরি সহায়তা দিয়েছে ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল (টিইসি)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, যত্রতত্র সড়ক পারাপারের ঝুঁকি এড়াতে, সবার নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে এই সংকেত বাতি বসানো হয়েছে। এই সংকেত ব্যবস্থার নকশা তৈরি করেছেন নগর পরিবহন পরিকল্পনাবিদ (স্থপতি) নূর-ই-দিফা মুত্তাকি এবং স্থপতি সারাক রউফ চৌধুরী।