রনবীর বাসায় চোর ঢোকার প্রমাণ খুঁজছে পুলিশ
খ্যাতনামা চিত্রকর ও কার্টুনিস্ট রফিকুন নবীর বাসায় চোর হানা দেওয়ার প্রমাণ গতকাল পর্যন্ত পায়নি পুলিশ। পুলিশ বলছে, তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং তাদের অনুসন্ধান চলছে।
‘টোকাই’ চরিত্র সৃষ্টি করে রনবী নামে জনপ্রিয়তা পাওয়া রফিকুন নবীর বাসা রাজধানীর মিরপুরের দক্ষিণ মণিপুরে। চারতলা এই বাড়িতে ২৯ বছর ধরে তিনি পরিবার নিয়ে থাকছেন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে চোর তাঁর বাসায় উৎপাত করছে। গত এক মাসে তিনবার বাসায় চোর ঢুকেছে। তাঁর ভাষ্যমতে, সোমবার দুপুরেও চার চোর এসেছিল। তারা বাসার নিচতলার কক্ষের সবকিছু তছনছ করলেও কোনো কিছু নিয়ে যায়নি।
রফিকুন নবী প্রথম আলোকে বলেন, থানা-পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বাসায় গিয়েছিলেন। তাঁরা খোঁজখবর নিচ্ছেন। তবে চোরের কোনো সন্ধান মেলেনি।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাজিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা রনবীর বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছেন। সেখানে সোমবার দুপুরে অপরিচিত কেউ বা সন্দেহভাজন কেউ ঢুকেছিল বলে তাঁরা প্রমাণ পাননি। ওসি বলেন, প্রতিদিন কয়েকবার করে পুলিশ তাঁর বাসায় যাচ্ছে, খোঁজখবর নিচ্ছে।
তবে রফিকুন নবী বলছেন, বাসার একদিকের সীমানাপ্রাচীর উঁচু করা এবং আঙিনায় ফ্লাডলাইট লাগানোর পর তাঁর গ্যারেজের টিনের চালে কেউ না কেউ ঢিল ছুড়ছে। সোমবার দুপুরের ঘটনার পর রাত ১২টার দিকে আবার ঢিল মেরেছে। তবে মঙ্গলবার আর গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত মারেনি।
বাংলাদেশের অগ্রগণ্য শিল্পী রফিকুন নবী ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন হিসেবে অবসর নেন। প্রায় ৪৬ বছর তিনি সেখানে শিক্ষকতা করেন। তরুণ বয়স থেকেই লেখালেখির সঙ্গে তিনি যুক্ত। সাহিত্যের প্রায় সব ক্ষেত্রে তাঁর বিচরণ রয়েছে। ছোটদের ছড়া, কবিতা, কিশোর উপন্যাস, গল্প-উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি লিখেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।