জামিন নিতে এসে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির তিন কর্মকর্তা কারাগারে
জামিন নিতে এসে আটক হয়ে কারাগারে গেলেন দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির তিন কর্মকর্তা। আজ বুধবার তাঁরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা চুরির ঘটনায় আদালত গতকাল মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঞা এ আদেশ দেন। আজ দুপুরে অভিযুক্ত ২৩ কর্মকর্তা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তিনজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তবে বাকিদের আবেদন মঞ্জুর করেন।
আটক তিন কর্মকর্তা হলেন—কয়লা খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাবিবউদ্দিন আহাম্মদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক আবু তাহের মো. নুর-উজ-জামান চৌধুরী ও উপমহাব্যবস্থাপক (স্টোর ডিপার্টমেন্ট) একেএম খালেদুল ইসলাম।
জামিন আবেদন মঞ্জুর হওয়া কর্মকর্তারা হলেন—সাবেক এমডি মাহবুবুর রহমান ও আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, কামরুজ্জামান, আনিসুজ্জামান ও এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব; সাবেক মহাব্যবস্থাপক শরিফুল আলম ও আবুল কাশেম প্রধানিয়া, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান; উপ-মহাব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান, মোর্শেদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান ও জাহিদুর রহমান; সহকারী ব্যবস্থাপক সত্যেন্দ্রনাথ বর্মণ ও মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ব্যবস্থাপক সোহেবুর রহমান, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও জোবায়ের আলী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বড়পকুরিয়া কয়লা খনি হতে ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয়। চুরি হওয়া কয়লার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা। কয়লা চুরির ঘটনায় গত বছরের ২৪ জুলাই তারিখে কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।