টিকিট কালোবাজারিদের ধরলেন যাত্রীবেশী ইউএনও
রেল কাউন্টার থেকে বলা হয় টিকিট নেই, অথচ কালোবাজারিদের কাছে ঠিকই ট্রেনের টিকিট মেলে। এই অভিযোগের তদন্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজেই যাত্রীবেশে টিকিট কিনতে যান।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও রেলস্টেশনে রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে টিকিট-সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তে অভিযান চালানো হয়। যাত্রীবেশে ওই অভিযান চালান ফেঞ্চুগঞ্জের ইউএনও মো. জসীম উদ্দিন। এ সময় তিনি হাতেনাতে দুজন কালোবাজারিকে আটক করেন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁদের ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
সাজা পাওয়া দুই কালোবাজারি হচ্ছেন মোবারক মিয়া ও জসিম উদ্দিন। তাঁরা ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁওয়ের বাসিন্দা।
ইউএনও মো. জসীম উদ্দিন সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, সিলেট রেলস্টেশনের পর ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও রেলস্টেশন। এখান থেকে ঢাকাগামী ট্রেনে অনেক যাত্রী যাতায়াত করে। এক সপ্তাহ ধরে মাইজগাঁও স্টেশনে কালোবাজারি চক্রের তৎপরতা বেড়ে যায়। এ নিয়ে নানা রকম অভিযোগ পান তিনি। এরপর অভিযোগের তদন্তে যাত্রীবেশে ওই রেলস্টেশনে টিকিট কিনতে যান। সেখানে মোবারক নামের কালোবাজারিকে ব্যাংকার পরিচয় দিয়ে দুটি টিকিট চান।
ইউএনও বলেন, সিলেট রেলস্টেশন থেকে টিকিট আনতে হবে বলে তাঁকে জানান মোবারক। এ সময় ইউএনও মোবারককে জানান, বেশি দামে হলেও তাঁর টিকিট প্রয়োজন। এর প্রায় ১৫ মিনিট পরে দুটি টিকিট নিয়ে তাঁর কাছে আসেন মোবারক। টিকিট হস্তান্তরের সময় ইউএনওর সঙ্গে সাদাপোশাকে থাকা পুলিশের একটি দল মোবারককে আটক করে। এরপর মোবারকের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গী জসিমকেও আটক করা হয়।
মাইজগাঁও রেলস্টেশন মাস্টার শফিউল আলম বলেন, এ ঘটনার পর মাইজগাঁও রেলস্টেশন কালোবাজারিমুক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই অভিযানের পর মাইজগাঁও রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।