'নজরদারিতে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মাধ্যম'
ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন পোর্টাল অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে কি না, তথ্য মন্ত্রণালয় তা সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারি ও তদারকি করছে। আজ রোববার সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এ কথা বলেন।
এ সম্পর্কিত প্রশ্নে সরকারি দলের সাংসদ আবু জাহির দাবি করে বলেন, অনলাইন পোর্টালগুলো অসত্য তথ্য প্রচার করছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে কি না? জবাবে মুরাদ হাসান আরও বলেন, কোথাও মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার হলে মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। ইতিমধ্যে ৫৭ ধারা প্রবর্তিত হয়েছে। কোথাও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন হলে ভবিষ্যতেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
অসত্য ও ভুয়া সংবাদ পরিবেশনকারী বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল বন্ধ করতে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, এ–সংক্রান্ত অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে যারা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক সংবাদ পরিবেশন করে না, অসত্য বা বিভ্রান্তিকর খবর দেখতে পাই। আমরা নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এসব অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধনের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত আবেদনের সময় দেওয়া হয়েছিল। পরে সময় ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আবেদনের সময় শেষ হলে এগুলো পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই করে যোগ্য নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্যের প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের আওতায় সাংবাদিকদের স্বাধীন সংবাদ পরিবেশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কি না? জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমানের এ–সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মুরাদ হাসান বলেন, ‘তথ্যের অবাধপ্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য সরকার আন্তরিক। যে ধারাটির বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তাতে সংবাদের প্রচার ও প্রকাশে কোনো বাধা আছে বলে মনে করি না। তবে সাংবাদিকেরা কোন কোন ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হচ্ছেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানানো হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অচিরেই নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড ঘোষণা
শিগগিরই সংবাদপত্রের নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরীর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ, ২০১৩ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করেছে, যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ১৬৭টি পত্রিকায় ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়িত হয়েছে। এ ছাড়া সরকার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড গঠন করে। সব সংবাদপত্রের গণমাধ্যমকর্মীর ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড ইতিমধ্যে প্রতিবেদন দিয়েছে। এ প্রতিবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সব অংশীজনকে নিয়ে সভা করেছে। অচিরেই নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণা করা হবে।