২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

লিবিয়ায় অভিবাসনপ্রত্যাশী আটককেন্দ্রে বিমান হামলায় নিহত ১ বাংলাদেশি

লিবিয়ার তাজৌরা শহরে একটি অভিবাসনপ্রত্যাশী আটককেন্দ্রে গত বুধবার বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হন। ছবি: এএফপি
লিবিয়ার তাজৌরা শহরে একটি অভিবাসনপ্রত্যাশী আটককেন্দ্রে গত বুধবার বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হন। ছবি: এএফপি

লিবিয়াতে অভিবাসনপ্রত্যাশী আটককেন্দ্রে বিমান হামলায় একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস। নিহত ব্যক্তির নাম শাহজালাল।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁর বাড়ি মাদারীপুর জেলার মোস্তফাপুরে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর লাশ দেশে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

গত বুধবার লিবিয়ায় রাজধানী ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলের শহর তাজৌরাতে অভিবাসনপ্রত্যাশী এক আটককেন্দ্রে বিমান হামলা হয়। এতে অন্তত ৪০ জন নিহত হন, আহত হন ৮০। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই আফ্রিকান অভিবাসনপ্রত্যাশী বলে জানান কর্মকর্তারা। পরে তাঁদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি বলে নিশ্চিত করেছে ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস।

লিবিয়ার জাতিসংঘ-সমর্থিত জাতীয় ঐকমত্যের সরকার (জিএনএ) এ হামলার জন্য সাবেক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিকে (এলএনএ) দায়ী করে। ওই ঘটনার পর তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই হামলা ‘পূর্বনির্ধারিত’। ‘সুনির্দিষ্ট’ হামলা চালানো হয়েছে। এটিকে ‘জঘন্য অপরাধ’ অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে যাওয়ার প্রধান পথে পরিণত হয়েছে লিবিয়া। ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করে লিবিয়ার বিভিন্ন আটককেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এঁদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও আছেন। ত্রিপোলিকে কেন্দ্র করে লিবিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বাহিনীর লড়াই এসব আটককেন্দ্র–সংলগ্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।