২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

কদমতলীতে ওয়াসার কল এখনো পানিশূন্য

ওয়াসার কল পানিশূন্য। টানা চার সপ্তাহ ধরে কদমতলীর জনতাবাগ, গ্যাস রোড ও মসজিদ রোডের বাসিন্দারা তীব্র গরমে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁরা ক্ষুব্ধ।

জনতাবাগ, গ্যাস রোড ও মসজিদ রোডের পানির সমস্যা গত এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ থেকে। এ নিয়ে ১১ মে প্রথম আলোয় ‘দুই সপ্তাহ ধরে পানি নেই’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। তখন ওয়াসার মডস জোন-৭–এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবিদ হোসেন বলেছিলেন, এসব এলাকা পরিদর্শন করে সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যপারে জনতাবাগ সড়কের ১৮৫১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, ‘ওয়াসার পক্ষ থেকে কেউ আমাদের এলাকা পরিদর্শন করেননি। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতি সপ্তাহে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একাধিকবার ওয়াসার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তারা আমাদের সমস্যার বিষয়ে কোনো আমলই দিচ্ছে না।’

গ্যাস রোডের ১৭০৪ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা হাজি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘পানির সমস্যা কোনোভাবেই সমাধান করছে না ওয়াসা। বাড়ির ভাড়াটেদের নিয়ে আমরা অবর্ণনীয় কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। ওয়াসার পানির গাড়ি চাইলে ঠিকমতো পাই না। পেলেও বেশি দামে আনতে হয়।’

এলাকাগুলোর বাসিন্দারা জানান, ওয়াসার পাইপে তাঁরা কোনো পানি পাচ্ছেন না। আবার পানির গাড়ি আনতে হলে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। আবার পানি না পেলেও ওয়াসার বিলও ঠিকই দিতে হবে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জনতাবাগ, গ্যাস রোড ও মসজিদ রোডের বাসিন্দারা।

জানা যায়, ২০১৬ সালের মে মাসে ‘জনতাবাগ পানির পাম্প’ নামে জনতাবাগে একটি পাম্প স্থাপন করা হয়। তখন এর উৎপাদনক্ষমতা ছিল মিনিটে ১ হাজার ৯০০ লিটার। তখন এলাকার বাসিন্দারা পর্যাপ্ত পানি পেতেন। এখনো উৎপাদন একই রয়েছে, কিন্তু এলাকাগুলোতে অনেক রকম স্থাপনা তৈরি ও জনসংখ্যার ঘনত্ব বাড়ায় পানির ব্যবহার বেড়েছে। এতেই সংকট দেখা দিচ্ছে।

জনতাবাগ পাম্প অপারেটর রসূল মাহমুদ বলেন, আমাদের এখানকার পাম্পে ঠিকমতোই পানি তোলা হচ্ছে। পানির চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে পাম্পের আশপাশের এলাকাগুলোতে পানি পেলেও পাম্প থেকে দূরে কিংবা অপেক্ষমাণ উঁচু সড়কগুলোতে পানি যাচ্ছে না। তবে কদমতলী এলাকায় ‘স্মৃতিধারা পাম্প’ নামের আরেকটি পাম্প খুব শিগগিরই চালু হবে। তখন হয়তো পানিসংকট কেটে যাবে।

কদমতলীর জনতাবাগ, গ্যাস রোড ও মসজিদ রোড ওয়াসার মডস জোন–৭–এর অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়ে মডস জোন–৭–এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবিদ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। তবে তিনি ফোন তোলেননি।