ইয়াঙ্গুনে বিমানের ১৮ যাত্রী আহত, শঙ্কামুক্ত সবাই
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরের রানওয়েতে ছিটকে পড়া বিমানের ১৮ যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে তাঁরা সবাই শঙ্কামুক্ত। বিমান কর্তৃপক্ষ আজ রাত ১০টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায়।
বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ । ওই উড়োজাহাজে এক শিশুসহ ২৯ জন যাত্রী, দুই পাইলট ও দুজন কেবিন ক্রু ছিলেন। বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে।
আজ রাত ১০টায় বিমানবন্দরসংলগ্ন বিমানের অপারেশন ভবনে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ (জনসংযোগ)। তিনি বলেন, ‘আজকের ঘটনায় বিমানের ১৮ যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছেন। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত। তাঁদের ইয়াঙ্গুনের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
শাকিল মেরাজ বলেন, আজই মিয়ানমার সিভিল এভিয়েশনের অনুমতিসাপেক্ষে বিমানের একটি উড়োজাহাজ ইয়াঙ্গুন যাবে। ক্যাপ্টেন আনিসুর রহমান ও ক্যাপ্টেন তাবাসসুম বিশেষ প্লাইট নিয়ে যাবেন। তাঁরা যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। মিয়ানমারের অনুমতি মিললেই তাঁরা যাত্রা করবেন।
শাকিল মেরাজ বলেন, বিমানের যাত্রীদের মধ্যে যাঁরা দেশে চলে আসতে চান, তাঁদের আজই নিয়ে আসা হবে। এখন যে উড়োজাহাজ পাঠানো হবে তাতে বিমানের প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলীরা যাবেন। ক্ষতিগ্রস্ত উড়োজাহাজটির ক্ষতি নিরূপণ করতেই তাঁরা সেখানে যাবেন।
বিমানের যাত্রীদের বিষয়ে শাকিল মেরাজের বক্তব্য, আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের সেখান থেকে নিয়ে আসা হবে।
এর আগে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, যাত্রীরা অক্ষত আছেন। তবে কয়েকজন যাত্রী হয়তো সামান্য ব্যথা পেয়েছেন। পাইলট ও যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা থেকে চিকিৎসক পাঠানো হচ্ছে।
রওনা দিয়েছে বিশেষ বিমান: এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের যাত্রীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে রাত ১১ টা ২৫ মিনিটে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।