শেখ হাসিনা সরকারের নীতি আইনের ঊর্ধ্বে নয় কেউ: গণপূর্তমন্ত্রী
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, এ দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নীতি হচ্ছে, দেশে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে। আজ রোববার পিরোজপুরের জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০১৯-র র্যালি-পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ এবং দেশটি পরিচালনার জন্য একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন। এই সংবিধানের ১৯ ও ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, দেশের সবার আইনি অধিকার এবং বিচার প্রার্থনার সুযোগ রয়েছে। সংবিধান প্রদত্ত সেই অধিকার বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০০ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা আইন প্রণয়ন করে সব মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছেন।’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়েছেন আদালত, বিশ্বজিৎ হত্যার অপরাধে অপরাধীদের ফাঁসির নির্দেশ হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের আসামিদের ফাঁসিসহ বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি দিয়েছেন আদালত। এই ধারাবাহিকতায় প্রমাণিত যে এ দেশের বিচারব্যবস্থা এখন স্বাধীন এবং হস্তক্ষেপমুক্ত। তিনি বলেন, মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে আদালত। আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগ করে বিচারের পথ সুগম করতে জাতীয় আইনগত সহায়তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এ দেশের লাখ লাখ অসহায় মানুষ এই আইনের সুবিধা পাচ্ছেন।
পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর মো. নোমান, পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র মো. হাবিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন, সরকারি কৌঁসুলি খান মো. আলাউদ্দিন, নারী শিশু আদালতের পিপি রাজ্জাক খান বাদশা, সরকারি কৌঁসুলি শহিদুল আলম পান্না, লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী কমল মুখার্জি এবং লিগ্যাল এইডের সহায়তা পাওয়া বিচারপ্রার্থী রোজিনা আক্তার বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভার আগে বর্ণাঢ্য র্যালিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী, জেলা ও দায়রা জজ, বিচারক, আইনজীবী, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। র্যালি শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে শুরু হয়ে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
মন্ত্রী এরপর শহরতলির ডুমরিতলা শ্রীগুরু আশ্রমে ভক্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন।