ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পিবিআই বলছে, তারা রুহুল আমিনকে আটক করেনি। এটা গুজব। রুহুল আমিনের ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নিজ বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
নুসরাত হত্যাকাণ্ডে এক আসামির জবানবন্দিতে রুহুল আমিনের নাম এসেছে।
রুহুল আমিনের সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে পরিচিত উপজেলা যুবলীগের সদস্য আবদুল হালিম সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দুজন সাদাপোশাকের লোক রুহুল আমিনের বাসায় যান। সে সময় তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। ওই ব্যক্তিরা তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে উঠান এবং মোবাইল ফোনে কোনো একজনের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। এরপর সাদা ও সিলভার কালারের দুটো মাইক্রোবাস তাঁর বাসার সামনে এসে দাঁড়ায়। মাইক্রোবাসগুলোতেও লোক ছিল। পরে তাঁরা তাঁকে ওই মাইক্রোবাসে করে ফেনীর দিকে নিয়ে যান।’
আবদুল হালিম জানান, ঘটনার সময় তিনিসহ উপস্থিত কয়েকজন ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চান। তখন তাঁরা নিজেদের পিবিআইয়ের সদস্য পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘উনাকে (রুহুল আমিন) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
তবে নুসরাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম প্রথম আলোর কাছে রুহুল আমিনের আটকের বিষয়টি গুজব বল উড়িয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নুসরাত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম। শাহাদাতের জবানবন্দিমতে নুসরাতের শরীরের আগুন দেওয়ার পর তিনি রুহুল আমিনকে বিষয়টি জানান। তখন রুহুল আমিন শাহাদাতকে বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি তোমরা চলে যাও।”
রুহুল ছাড়া নুসরাত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৮ আসামিসহ ১৮ জন গ্রেপ্তার আছেন। এর মধ্যে ১৪ জন বিভিন্ন মেয়াদ রিমান্ডে আছেন।