নারায়ণগঞ্জে ছাত্র পেটানোয় শিক্ষক বরখাস্ত
নারায়ণগঞ্জে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বাড়ির কাজ করে না আনায় এক ছাত্রকে বেত্রাঘাত করায় এক শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল আলমকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
চেইঞ্জেস স্কুলের চাঁদমারি ক্যাম্পাসে গতকাল মঙ্গলবার আইসিটি বিষয়ের বাড়ির কাজ (হোমওয়ার্ক) করে না আনায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সৈকত কুমার পালকে বেত্রাঘাত করে আহত করেন শিক্ষক নাজমুল আলম। আহত শিক্ষার্থীকে নগরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা সুরিথ কুমার পাল বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ আজ তিনজন পরিচালক, অভিভাবক ও শিক্ষকদের যৌথ সিদ্ধান্তে আইসিটি শিক্ষক নাজমুল আলমকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী সৈকত কুমার পাল জানায়, প্রতিদিনের মতো সে স্কুলে গিয়েছিল। ভুলবশত সে আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক নাজমুল আলমের হোমওয়ার্ক করতে পারেনি। এতে শিক্ষক নাজমুল তার ওপর খেপে গিয়ে ‘৭০টির’ বেশি বেত্রাঘাত করেন।
শিক্ষার্থী সৈকত কুমার পালের বাবা সুরিথ কুমার পাল অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে হোমওয়ার্ক করেনি, শিক্ষক বিষয়টি তাঁকে জানাতে পারতেন। কিন্তু তাঁকে না জানিয়ে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে এভাবে গুরুতর আহত করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তিনি সন্তুষ্ট। স্কুল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতেন।
এ বিষয়ে স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জি এম ফারুক বলেন, ‘আমাদের স্কুল যখন ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, ওই সময় থেকেই বাচ্চাদের বেত্রাঘাত করে শাসন করতে শিক্ষকদের নিষেধ করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কালকের এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা অভিভাবকেরা আলোচনা শেষে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক যাতে কোনো শিক্ষার্থীর প্রতি এ ধরনের মারমুখী আচরণ না করেন, সে জন্য তাৎক্ষণিক ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।’