মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার একটি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে আজ মঙ্গলবার তরিকুল ইসলাম ওরফে রিমন (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তরিকুল গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনের মেয়ের জামাই।
মামলার এজাহারে ওই ছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেন, তরিকুল এলাকায় বখাটে ও ভবঘুরে হিসেবে পরিচিত। মাদ্রাসায় যাতায়াতের সময় প্রায়ই তিনি মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দিতেন। বিষয়টি জানার পর নিষেধ করা হলে তরিকুল আরও ক্ষিপ্ত হন। ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির পাশের একটি মুদিদোকান থেকে কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার সময় মেয়েটির পথ রোধ করেন তরিকুল। এ সময় তরিকুল ওই মেয়ের মুখ চেপে ধরে পাশের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি না জানাতে মেয়েটিকে ভয় দেখিয়েছিলেন তিনি। ভয়ে ওই মেয়ে ঘটনাটি সম্পর্কে বাড়ির কাউকে কিছু বলেনি। এ ঘটনার কয়েক দিন পর গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তরিকুল আচমকা ঘরে প্রবেশ করে মেয়েটিকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই মেয়ে দৌড়ে এক প্রতিবেশীর বাড়ি গিয়ে ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর প্রতিবেশী কয়েকজন মেয়েটির বাড়িতে গেলে তরিকুল পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তরিকুল এলাকায় বখাটে এবং মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি। কয়েক মাস আগে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তরিকুলসহ কয়েকজন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ঢুকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনদের কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও রয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে থানায় আনার পর তরিকুল মাদ্রাসার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তরিকুলের দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফী প্রথম আলোকে বলেন, থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দেওয়ার পরপরই তরিকুলকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।