বসুন্ধরা সিটির খাবারের দোকানগুলোয় এ কী কাণ্ড?
ছত্রাকে ভরা পাউরুটি। মেয়াদ চলে গেছে কয়েক দিন আগে। তাতে কী? আপনি তো আর খাওয়ার সময় মেয়াদ দেখে খাচ্ছেন না! চলে যান এসব নামি খাবার দোকানের রান্না ঘরে। সেখানে শত শত তেলাপোকার রাজত্ব। পাউরুটির মেয়াদ হয়তো দেখে নিলেন। কিন্তু রসুই ঘরে যাওয়ার তো অধিকার নেই। না, এখানেই শেষ নয়। আপনার প্রিয় খাবারে মিশছে শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত রং। গাঁটের পয়সা খরচ করে কেনা এসব খাবার তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গতকাল সোমবার রাতের অভিযানে ধরা পড়ল। নগরীর পান্থপথের বসুন্ধরা শপিং মলের ফুডকোর্টে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘বসুন্ধরা সিটির ফুডকোর্টে যেসব দোকান আছে এর বেশির ভাগ দোকানই পরিবেশ সম্মত না। এরা খাবারের নামে মানুষকে যা খাওয়ায় তা অখাদ্য। এটা অন্যায়।’
র্যাব জানায়, পোশাক কারখানায় যে রং ব্যবহার করা হয় সে রং ব্যবহার করা হচ্ছে ফ্রাইড চিকেন তৈরিতে।
ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার গতকালের অভিযানের বর্ণনা দেন, মিডনাইট সাইট রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে দেখা গেল গতকাল যেসব পাউরুটি, বনরুটি সরবরাহ করা হয়েছে তা ২৫ জানুয়ারিতে মেয়াদোত্তীর্ণ। এ ছাড়া ব্যবহার করা হচ্ছে কাপড়ে ব্যবহার্য রং । দুই সপ্তাহ পূর্বে মেয়াদোত্তীর্ণ পাউরুটিতে ছত্রাকে ভরে গিয়েছে। এ জন্য এ প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে আদালত।
প্রায় একই রকম অনিয়মের কারণে ঢাকাইয়া রেস্টুরেন্ট, মোঘল দরবার, ইন্ডিয়ান হট মাসালা, দিল্লি স্পাইসি, ইন্ডিয়ান দরবার, এলএফসি স্পাইসি,ডোসা কিংকে ৩ লাখ টাকা করে ও টাংগি অ্যান্ড টামি রেস্টুরেন্টকে ২ লাখ টাকা এবং ইন্ডিয়ান হান্ডি, কাবানা সী ফুড,কোরিয়ান ক্লোজি, বিএফসি, দিল্লি দরবারকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। ১৪ দোকানকে মোট ৩১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এর পাশাপাশি মিড নাইট সান, ঢাকাইয়া, ইন্ডিয়ান হট মাসালা, এলএফসি স্পাইসি ডোসা, কড়াই গোসত রেস্টুরেন্টকে সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে কয়েকটি রেস্তোরাঁর মান সন্তোষজনক পাওয়ায় তাদের ধন্যবাদ দেওয়া হয়।