২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি খান সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমান আজ সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁরা দুজন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন তা নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠান।
খান সাঈদ হাসান পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি, দক্ষিণ) ছিলেন। আর ওবায়দুর রহমান উপকমিশনার (ডিসি, পূর্ব) ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলার প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান এই দুজনের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা দুই মামলায় অধিকতর তদন্তে খান সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমানের নাম বেরিয়ে আসে। তাঁরা মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছেন, ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। গ্রেনেড হামলার ঘটনাস্থল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তাঁরা দুজন নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেননি। অভিযোগপত্র দাখিলের পরও তাঁরা বিচারের মুখোমুখি না হয়ে পলাতক থেকেছেন। এ অবস্থায় তাঁদের জামিন না দেওয়ার কথা বলেন সৈয়দ রেজাউর রহমান।
শুনানি শেষে আদালত খান সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমানের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠান। গত বছরের ১০ অক্টোবর ঘোষিত এই মামলার রায়ে তাঁদের দুই বছর করে সাজা হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু প্রমুখ।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় ২২ জন মারা যান। আহত হন কয়েক শ নেতা-কর্মী। ওই দিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।