সাভারে বিক্ষোভে ৭০ কারখানার শ্রমিক, নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
সাভার ও আশুলিয়ায় আজ ন্যূনতম মজুরির দাবিতে বিক্ষোভে রাস্তায় নামে অন্তত ৭০ পোশাক কারখানার শ্রমিক। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে ৫০ এর বেশি শ্রমিক আহত হয়েছে। এ সময় নয়জন পুলিশও আহত হয়েছে। পরে চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বেলা পৌনে চারটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাভারের পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলেও আশুলিয়ার কয়েকটি জায়গায় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছিল।
ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে সাভার ও আশুলিয়ায় আজ বুধবার আবার রাস্তায় নামে পোশাক শ্রমিকেরা। সাভারের উলাইল, গেন্ডা, থানা রোড এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নেমে আসে শ্রমিকেরা। তখন কিছু এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ জলকামান ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন শ্রমিক আহত হয়।
শিল্প পুলিশ-১ এর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আজ ৭০ টির মতো কারখানার শ্রমিক রাস্তায় নেমে আসে। এসব কারখানায় আজ কোনো কাজ হয়নি। শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে নয়জন পুলিশ আহত হয়েছেন।’
আশুলিয়ার বাইপাইল, কাঠগড়া, পুকুরপাড়েও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বেলা সাড়ে তিনটায় এ বিক্ষোভ চলছিল। এখন সাভারে অবশ্য শ্রমিকেরা রাস্তা ছেড়ে দিয়েছে।
শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে ডার্ড গ্রুপ ও স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কারখানাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এক সপ্তাহ ধরে ন্যূনতম মজুরির দাবিতে রাজধানীর উত্তরা, সাভার ও আশুলিয়ার এবং গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছিল। গতকাল মঙ্গলবার মজুরি নিয়ে অসন্তোষ-বিক্ষোভের মধ্যে সুমন মিয়া নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বিক্ষোভরত শ্রমিকেরা গতকাল দাবি করেন, পুলিশের গুলিতে তিনি মারা গেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল নতুন মজুরি কাঠামো নিয়ে পোশাকশ্রমিকদের ১২ সদস্যের একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল রাজধানীর দৈনিক বাংলা এলাকার শ্রম ভবনে সরকার, মালিক ও শ্রমিকের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটি হয়। বৈঠকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলা হয়। তবে এর মধ্যে আজ আবার নতুন করে শ্রমিক বিক্ষোভ দেখা দিল।