মন্ত্রিসভায় প্রথমবারের মতো ঠাঁই পাচ্ছেন ২৭ জন
নতুন মন্ত্রিসভায় বেশির ভাগই নতুন মুখ ঠাঁই পাচ্ছে। আজ রোববার বিকেল সোয়া চারটায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম পড়ে শোনান।
নতুন মন্ত্রিসভার ৪৭ সদস্যের মধ্যে ২৭ জন প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন। আবার চারজন আছেন—যাঁরা সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় না থাকলেও এর আগে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। এই দুই মিলিয়ে ৩১ জন সদস্য নতুন মন্ত্রিসভার নতুন মুখ।
সচিব শফিউল আলম জানান, কাল সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ হবে।
এবার মন্ত্রিসভায় প্রথমবার এসে পূর্ণ মন্ত্রী হতে যাওয়া ৯ জন হলেন: তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার), এ কে আবদুল মোমেন (পররাষ্ট্র), নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (শিল্প), গোলাম দস্তগীর গাজী (বস্ত্র ও পাট), সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য), টিপু মুনশি (বাণিজ্য), শ ম রেজাউল করিম (গণপূর্ত), নুরুল ইসলাম সুজন (রেলপথ), মো. শাহাব উদ্দিন (পরিবেশ ও বন)।
সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় না থাকলেও আগে ছিলেন—এমন তিনজন হলেন: আবদুর রাজ্জাক (কৃষি), দীপু মনি (শিক্ষা) ও হাছান মাহমুদ (তথ্য)।
১৯ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে ১৫ জনই এবার প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় আসছেন। আর একজন সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় না থাকলেও আওয়ামী লীগের আমলে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
এঁরা হলেন, কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমরান আহমেদ (প্রবাসী কল্যাণ), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌ পরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বিমান), শেখ মো. আবদুল্লাহ—টেকনোক্র্যাট (ধর্ম)।
মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম) ২০০৯ থেকে ২০১৪ মেয়াদে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
উপমন্ত্রী তিনজনই এবার প্রথমবার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন। এঁরা হলেন: হাবিবুন নাহার (পরিবেশ), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।
পদোন্নতি পেলেন তাঁরা
গত মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর এবার পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্বে পাচ্ছেন এম এ মান্নান (পরিকল্পনা), জাহিদ মালেক (স্বাস্থ্য), নুরুজ্জামান আহমেদ (সমাজকল্যাণ), বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক), সাইফুজ্জামান চৌধুরী (ভূমি)।