'শক্তির অপপ্রয়োগের প্রমাণ সুবর্ণচরের গণধর্ষণ'
ভোটের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ কতটা অগণতান্ত্রিক এবং এই নির্বাচনে কীভাবে শক্তির অপপ্রয়োগ হয়েছে, এই ঘটনা তার একটা প্রমাণ। আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কতটা নিষ্ঠুর, এই ঘটনা তারও প্রমাণ। প্রত্যাশা করব, আওয়ামী লীগ তার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।’
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক মানববন্ধনে মেসবাহ কামাল এ কথা বলেন। সুবর্ণচরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীজোট’ নামে এক সংগঠন।
মেসবাহ কামাল বলেন, ‘নোয়াখালীর সুবর্ণচরের এই ঘটনা আমাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনাগুলোর একটা। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আমি তাদের মৃত্যুদণ্ড এবং এই ব্যাপারে আইনের যে অপ্রতুলতা রয়েছে, তা সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি।’
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনটির আহ্বায়ক শিবলী হাসান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ—বিসিএলের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহজাহান আলী সাজু, লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট মারুফ রসূল, সংস্কৃতিকর্মী সানজিদা কাজী, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সদস্য রূপসী চাকমা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে ওই নারীর স্বামী-সন্তানকে বেঁধে তাঁকে পিটিয়ে আহত ও ধর্ষণ করা হয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।