নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত চায় এইচআরডব্লিউ
সদ্য শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে ‘নিরপেক্ষ’ ও ‘স্বাধীন’ কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। গতকাল বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি।
গত ৩০ ডিসেম্বর ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন। এইচআরডব্লিউ ভোটের আগে ও ভোটের দিন বিরোধী দলের কর্মীদের ওপর হামলা, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, ভোট জালিয়াতি এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের একপেশে দলীয় আচরণের তদন্ত চায়।
এইচআরডব্লিউয়ের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘নির্বাচনের প্রচারণার সময় বিরোধী পক্ষের ওপর সহিংসতা ও ভয়ভীতি দেখানো, তাদের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা এবং মতপ্রকাশে বাধা সৃষ্টি করার জন্য আইনের অপব্যবহার হয়েছে।’ অ্যাডামস আরও বলেন, ‘নির্বাচনের দিন জোর করে ব্যালটে সিল মারা, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ভোটকেন্দ্রেও ক্ষমতাসীন দলের আধিপত্য ছিল। তাই এসব ঘটনার তদন্তে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন কমিশন গঠন করা উচিত।’
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাংবাদিকেরা দাবি করেছেন, গ্রেপ্তার ও হামলার ভয় দেখিয়ে তাঁদের প্রতিবেদন লিখতে, কাটছাঁট করতে বাধ্য করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে বিটিআরসি মোবাইলের থ্রিজি ও ফোরজি সুবিধা বন্ধ করে দেয়। নির্বাচনের দিন সহিংসতায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে।
এইচআরডব্লিউয়ের বিবৃতিতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারীর গণধর্ষণের ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়। বিরোধী পক্ষে ভোট দেওয়ার কারণে ওই নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগের কথা উঠে আসে বিবৃতিতে। এ ছাড়া খুলনার সাংবাদিক হেদায়তে হোসেন মোল্লা ও রাশিদুল ইসলামের গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়।