পুলিশ আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন: ড. কামাল
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পুলিশ তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ড. কামাল আজ বুধবার নিজেই এ কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘পুলিশ আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রয়োজন অনুযায়ী আমাকে তাঁরা নিরাপত্তা দিতে চায়।’
আজ দুপুর ১২টার পর ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তাঁর চেম্বারে সাক্ষাৎ করেন পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক তিনি সেখানে ছিলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেখানে যাননি।
এ সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তারা আমাকে বলেছেন, তাঁরা আমার নিরাপত্তার ব্যাপারে খুবই উদ্বিগ্ন। কোনো কিছু প্রয়োজন হলে চেম্বারে ও বাসায় তাঁরা ব্যবস্থা নেবে। দরকার হলে গাড়ির সঙ্গেও নিরাপত্তা দেবে। এ ছাড়া কিছু বলেনি।’ তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনারের আসার কথা থাকলেও কাজে আটকা পড়ায় এবং যানজটের কারণে আসতে পারেননি বলে দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, সরকারের কার্যকলাপে সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে আশঙ্কা আছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘ধরে রাখতে হবে। ওরা যেন না বলতে পারে যে সরে গেছে। এটা আমাদের অধিকার। আমরা কেন সরে যাব? শেষ পর্যন্ত যদি অসম্ভব করে দেয়, তখন মানুষ দেখবে।’
গতকাল মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠকে ড. কামাল হোসেন পুলিশকে জানোয়ার বলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওই অর্থে তো বলিনি। তারা মানুষের মতো ভূমিকা রাখবে, আমরা সবাই সেটাই আশা করি।’ তিনি আরও বলেন, তিনি সব সময়ই পুলিশের প্রশংসা করেছেন। পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে সে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আগামীকাল নির্বাচনী প্রচারণার শেষদিনে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি পাননি বলেও জানান তিনি।
এদিকে সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের ডিসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিয়মিত দায়িত্বের (রেগুলার ডিউটি) অংশ হিসেবে আমরা এসেছি। ওনার নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে কামাল হোসেনের কোনো পর্যবেক্ষণ (অবজারভেশন) আছে কিনা, এসব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।’
গতকাল নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসি কে এম নুরুল হুদা ও ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের মধ্যে অপ্রীতিকর ও উত্তপ্ত তর্কবিতর্ক হয়। সেটা পুলিশের ভূমিকাকে কেন্দ্র করেই হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ।