আসন্ন সংসদ নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের ইশতেহার তরুণতুষ্টিমূলক। এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তরুণেরা। তাঁরা বলছেন, নির্বাচনের পর যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়ন দেখতে চান তাঁরা।
গতকাল প্রথম আলো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাচন ২০১৮: তারুণ্যের ইশতেহার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা এসব কথা বলেন। প্রথম আলো এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআইডি) ও বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের এদেশীয় পরিচালক ফারাহ্ কবির বলেন, ‘আমরা যুবকদের কথা বেশি শুনতে চাই না। অথচ তাঁদের কথা বেশি শুনতে হবে। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, রাজনীতি প্রতিটি পর্যায়ে তরুণদের আরও নেতৃত্বে আসতে হবে।’
ফারাহ্ কবির বলেন, নারী যদি রাস্তায় না নামতে পারে, গণপরিবহনে নিরাপদে না চড়তে পারে বা পাবলিক টয়লেটের সুবিধা না পায়, তাহলে নারীর ক্ষমতায়ন কীভাবে হবে?
জবাবদিহি ছাড়া মূল্যবোধ খুবই কঠিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মূল্যবোধ নিজের মধ্যে, পরিবার থেকে এবং সমাজ থেকে মূল্যবোধটা আসতে হবে। তরুণেরা উন্নয়নের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ–প্রকৃতির সুরক্ষায় কাজও দেখতে চান।
আইআইডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদ বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে তরুণদের নজরদারি বাড়াতে ২০১৩ সাল থেকে আইআইডি ‘তারুণ্যের ইশতেহার’ উদ্যোগ নিয়ে থাকে। এবার নির্বাচনের আগে সব দলই তরুণতুষ্টিমূলক ইশতেহার দিয়েছে। নির্বাচনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর এই প্রতিশ্রুতিগুলো যেন বাস্তবায়ন হয়, সেটা তরুণদেরই খেয়াল রাখতে হবে।
আইআইডির নীতি বিশ্লেষক অরিন হক বলেন, আইসিটি খাতে সরকারের অনেক বিনিয়োগ আছে। শিক্ষা খাতের বাজেটও কম নয়। তবে শিক্ষা খাতের গবেষণায় বরাদ্দ খুব কম। এতে সরকারের নজরদারি দরকার।
নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মাহবুবা সুলতানা বলেন, ঢাকায় মেয়েদের জন্য থাকার সমস্যা, নিরাপদ গণপরিবহন এবং রাস্তাঘাটে পাবলিক টয়লেটের সমস্যায় পড়তে হয়। পরবর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ, এ বিষয়গুলো যেন দেখা হয়।
বুয়েটের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় জোর দিতে হবে। ইশতেহার মানে মন ভোলানো কথাবার্তা হলে হবে না। ভিন্নমত প্রকাশ করলেই রাষ্ট্রবিরোধী হবে, এগুলো করা চলবে না।