একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার।
গতকাল মঙ্গলবার আবদুল্লাহ আল কায়সার প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমি আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী, উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারের সন্তান ও দলমত-নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের আগ্রহের কারণেই আমি নির্বাচন করছি।’
আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, ‘১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে পরপর তিনবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে আমি বিএনপির প্রার্থী রেজাউল করিমকে ৮২ হাজার ৫৯৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলাম। সাংসদ থাকাকালীন সোনারগাঁয়ে আমি কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনি। এ কারণে
আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন দলের সমর্থক ও সাধারণ মানুষ আমাকে পছন্দ করেন। আমি নির্বাচন না করলে আবারও আসনটিতে বিএনপি জয় পাবে।
এ কারণে আমি অবশ্যই এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগ আবদুল্লাহ আল কায়সারের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করলেও জনপ্রিয়তার কারণে তিনিই জয়ী হবেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সোহেল রানা বলেন, ‘আবদুল্লাহ আল কায়সারের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে আগামী নির্বাচনে সমর্থন দিয়ে ইতিমধ্যে তাঁর পক্ষে গণসংযোগ শুরু করেছি।’
এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে আবদুল্লাহ আল কায়সারের চাচা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনকে আওয়ামী লীগ প্রথমে দলীয় মনোনয়ন দিলেও পরে কেন্দ্রের নির্দেশে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। পরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন সাংসদ নির্বাচিত হন।
এই আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আবদুল্লাহ আল কায়সারের বাবা মরহুম আবুল হাসনাত বিএনপির প্রার্থী রেজাউল করিমের কাছে পরাজিত হন।