চার বছরে ১৭ হাজার ধর্ষণ মামলা
গত চার বছরে দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণের ১৭ হাজার ২৮৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪৩০টি মামলার বিচার শেষ হয়েছে। আজ রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হওয়ার পর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। সরকারি দলের আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণসংক্রান্ত ১৭ হাজার ২৮৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ভিকটিমের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৮৯ জন। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৮৬১ জন নারী ও ৩ হাজার ৫২৮ জন শিশু। এ সময় ৩ হাজার ৪৩০টি ধর্ষণ মামলার বিচার শেষ হয়েছে। নিষ্পত্তি হওয়া মামলায় ১৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৮০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫৭৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাসহ ৬৭৩ জনকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের আমিনা আহমেদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিরা যাতে অন্য কোনো দেশে নাগরিকত্ব নিতে না পারে, সে জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। জাতির পিতার খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খুনিদের ছবি-সংবলিত তথ্য পাঠিয়ে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পলাতক আসামিদের মধ্যে খন্দকার আবদুর রশিদের মালিকানাধীন ১৬ দশমিক ৯৪২৫ একর ও রাশেদ চৌধুরীর ১ দশমিক ১৫ একর ভূমি বাজেয়াপ্ত করে খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়েছে।
সরকারি দলের এম এ মালেকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি দেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। দেশ দুটি হচ্ছে ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
সরকারি দলের আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশের কারাগারগুলোতে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির সংখ্যা ১৫ হাজার ৯১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৩৭৪ জন ও নারী ৫৪৫ জন।