ওডিশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি আহত: উপহাইকমিশন

ওডিশায় গতকাল শুক্রবার তিন ট্রেনের সংঘর্ষের পর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বগি। দুর্ঘটনার এ পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে
ছবি: এএনআই

পূর্ব ভারতের ওডিশা রাজ্যের বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত মানুষদের মধ্যে এখনো কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের নাম পাওয়া যায়নি। সরকারিভাবেও এখনো কোনো তথ্য কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের হাতে আসেনি। তবে দুজন আহত হওয়ার খবর প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন উপহাইকমিশনের মুখপাত্র রঞ্জন সেন।

রঞ্জন সেন বলেন, আহত ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহীর রাসেলুজ্জামান ও বগুড়ার হাবিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন, ‘কাল রাত থেকে হটলাইন সচল রয়েছে। রাসেলের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি হটলাইনে জানিয়েছেন, রাসেল এখন ওডিশার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাবিবুর রহমানের নাম পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস নবান্নের তালিকা থেকে।’

রঞ্জন সেন বলেন, ‘উপহাইকমিশনের পক্ষ থেকে এখনো আহত দুই ব্যক্তির বিষয়টি যাচাই করা যায়নি। ইতিমধ্যে উপহাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ওডিশার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তারা গেলে বাংলাদেশি কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, সেটা বিস্তারিত জানাতে পারব।’

আরেকটি সূত্রের খবর, ওই ট্রেনের এক বাংলাদেশি যাত্রী ঘটনাস্থল থেকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, তাঁর বগিতে সাত থেকে আটজন বাংলাদেশি ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন।

আরও পড়ুন

উপহাইকমিশনের মুখপাত্র বলেন, কর্মকর্তাদের ওডিশায় পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে, কারণ রাস্তায় অনেক গাড়ি আটকে রয়েছে। কলকাতা থেকে ওডিশা হয়ে দক্ষিণ ভারতগামী অসংখ্য ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়ে গেছে বা অন্য রুটে চালানো হচ্ছে বলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন

অনেকে অভিযোগ করেছেন, উপহাইকমিশন যে হটলাইন নম্বর দিয়েছে, তাতে ফোন করে অনেক সময় লাইন পাওয়া যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে রঞ্জন সেন বলেন, ‘ঘণ্টায় ৫০টির বেশি ফোন আসছে। সাধারণ লাইন ও হোয়াটসঅ্যাপ—দুভাবেই ফোন করা যাচ্ছে। সাধারণ নম্বর চলতে থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন ঢুকতে পারে না বা হোয়াটসঅ্যাপে একটি কল চলতে থাকলে অন্য কলটি ঢোকে না। এ কারণে হয়তো অনেক সময় ফোন করে পাওয়া যাচ্ছে না। লাইন সব সময় ব্যস্ত থাকছে।’

ওডিশা রাজ্যের বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে এ পর্যন্ত ২৮8 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে সরকারি হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬১ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন