নৌকার মঞ্চের দিকে জুতা নিয়ে তেড়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের নামে মামলা
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের পথসভা মঞ্চের দিকে জুতা নিয়ে তেড়ে যাওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়ার ছোট ভাই ও নির্বাচনে আতাউরের পক্ষে দায়িত্বপালনকারী নেতাসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সেনবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের অনুসারী আনোয়ার হোসেন ওরফে বাহার। তিনি কেশারপাড় ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।
জুতা হাতে তেড়ে যাওয়া যুবক মো. আলাউদ্দিন ছাড়াও আরও ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। তাঁদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়ার ছোট ভাই মো. আনিছুর রহমান, আতাউরের পক্ষে নির্বাচনী দায়িত্বপালনকারী সেনবাগ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর টিপু, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র নুরুজ্জামান চৌধুরীর নাম রয়েছে।
ঘটনাটি গত সোমবার বিকেলের। সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের দমদমা বাজারে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের পথসভা মঞ্চের দিকে জুতা নিয়ে তেড়ে যান মো. আলাউদ্দিন। অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে আলাউদ্দিনকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ধরে পিটুনি দেন। পরে সেনবাগ থানার পুলিশের কাছে তাঁকে সোপর্দ করা হয়।
এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আলাউদ্দিনের স্বজনদের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।
মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রচার শুরুর দিন মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় গালি দিয়েছিল আলাউদ্দিন। তখন দলীয় কর্মীরা তাঁকে মারতে উদ্যত হয়। তবে আশপাশের লোকজন জানান, তিনি (আলাউদ্দিন) মানসিক রোগী। এরপর তাঁরা আর কিছু করেননি। কিন্তু ওই যুবক সোমবার নৌকা প্রতীকের পথসভায় জুতা নিয়ে মঞ্চের দিকে তেড়ে আসেন। এতে তিনি (আনোয়ার হোসেন) হাতে আঘাত পান। এ কারণে তিনি মামলা করেছেন।
নিজের নেতা–কর্মীদের নামে মামলা করার বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, নৌকার প্রার্থী নির্বাচনে ভয় পান। সে কারণে আমাদের যাঁরা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, তাদের সবাইকে আসামি করে মামলা করেছেন। অথচ ভিডিওচিত্র, গণমাধ্যমের খবর, পরিবারের বক্তব্য ও চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওই ছেলে মানসিক রোগী। সেই মানসিক রোগীসহ আমার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
আতাউর রহমান ভূঁইয়া আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নিলে এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন পরিবেশ থাকবে না।