চট্টগ্রাম নগরের জঙ্গল সলিমপুরের আরেফিন নগর এলাকায় পাহাড় কাটার ঘটনায় মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের পরিদর্শক মুহাম্মদ আশফাকুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বায়েজিদ থানায় মামলাটি করা হয়। এতে দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন মো. মোমিনুল ইসলাম (৪৩) ও এহছানুল করিম (৪০)। পাহাড়টির পাশে তাঁদের নামে সাইনবোর্ড রয়েছে। তাঁরা এই পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত বলে অধিদপ্তর জানায়। ওই এলাকায় কয়েক দিন ধরে পাহাড় কাটা হচ্ছিল। পাহাড় কেটে কাটা অংশে কলাগাছ লাগানো হয়েছে। সীমানা নির্ধারণের জন্য টিনের ঘেরাও দেওয়া হয় সেখানে। গতকাল প্রথম আলোয় ‘চট্টগ্রামে আবার পাহাড় কাটা চলছে’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল এলাকাটি পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শন করে পাহাড় কাটার প্রমাণ পায়। এরপর গতকাল মামলা করা হয়।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, পরিদর্শনের সময় পহাাড় কাটায় জড়িত ব্যক্তিদের পাওয়া যায়নি। তবে কারা এই ঘটনায় জড়িত, পরে সেসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে আজ মামলা করা হয়েছে দুজনের নামে। এ ছাড়া অজ্ঞাত কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে।
হিল্লোল বিশ্বাস আরও বলেন, ‘নগরের অন্যান্য স্থানে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থানে রয়েছি আমরা। পাহাড়ে সাইনবোর্ড টানানোর কাজও এগিয়ে চলছে। পাশাপাশি অভিযানও চলবে।’
মামলার এজাহারে ৩০ ফুট উঁচু পাহাড়টির বেশকিছু অংশ কেটে ফেলা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশে তাঁদের একটা দল আরেফিন নগরের পাহাড় কাটার স্থানটি পরিদর্শন করেছে। হাটহাজারী উপজেলার সহকারী কমিশনার মেহরাজ শারবীন পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরকে ভূমিসংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছি। তাঁরা মামলা প্রস্তুত করছেন।’
উল্লেখ্য, বায়েজিদ চন্দ্রনগর এলাকায় পাহাড় কাটার ঘটনায় ১৩ আগস্ট একটি মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ ছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরে চলতি বছরে পাহাড় কাটার অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তর ছয়টি মামলা করেছে। আগের বছর মামলা হয় ১০টি। ২০২২ সালে মামলা হয়েছিল ২২টি।