নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ কারাগারে
বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন (সিএমএম) আদালত আজ মঙ্গলবার বিকেলে এই আদেশ দেন।
পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় হেলালুদ্দীন আহমদকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ আদালতে হাজিরের পর তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পল্টন থানা-পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাচান আদালতকে লিখিতভাবে বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদে মামলার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা মামলার তদন্তের কাজে সহায়ক হবে। তাই তাঁকে আটক রাখতে হবে। আসামি জামিন পেলে তদন্তের কাজে বিঘ্ন ঘটবে। অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের খুলশী তুলাতুলী এলাকার একটি বাসা থেকে হেলালুদ্দীন আহমদকে আটক করে পুলিশ। পরদিন বিএনপির কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
হেলালুদ্দীন আহমদ ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ থেকে অবসরে যান। এর আগে তিনি ইসির সচিব ছিলেন। সর্বশেষ তিনি সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য ছিলেন।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর বিভিন্ন মামলায় আওয়ামী লীগ আমলের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি বেশ কিছু সাবেক সরকারি কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও মোস্তফা কামাল, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব আমিনুল ইসলাম খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব শাহ কামাল এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়াসচিব মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ গ্রেপ্তার হয়েছেন।