ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৭২ জন
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসের ১৭ দিনে ডেঙ্গুতে ৩০ জনের মৃত্যু হলো, যা চলতি বছর কোনো এক মাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু। গত মাসে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা) ডেঙ্গু নিয়ে ৮৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ডেঙ্গুতে দুজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের হাসপাতালে একজন করে মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বয়স ২১ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে সর্বোচ্চ ২২৪ রোগী চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৮৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ১৬৭, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১০২, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮০, খুলনা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭২, রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৫, ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৩ ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ৩ জন ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০ হাজার ২১৩ জন। আর এ বছর এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১৩ জনের। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ নারী ও ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ৬২ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। এ সময় হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ হাজার ৮৯৭ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৫৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপকভাবে শুরু হয় ২০০০ সালে। ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৬ জন এ রোগে আক্রান্ত হন। এ সময় মারা যান ৮৫৩ জন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গত বছর। এ সময় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের।