সার আত্মসাৎ মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
সরকারিভাবে আমদানি করা ৫৮১ কোটি টাকার সার আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আজ বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন দুদকের সহকারী পরিদর্শক (জিআরও) আক্কাস আলী।
কারাগারে পাঠানো অপর চার আসামি হলেন কামরুলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহাদাত হোসেন, মো. নাজমুল আলম, উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি মো. সোহরাব হোসেন ও খুলনা প্রতিনিধি মো. আতাউর রহমান।
দুদক ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মামলায় কামরুলসহ পাঁচজন গত বছরের ৬ ডিসেম্বর আদালত থেকে জামিন পান। এরপর তিন দফা তাঁদের জামিনের মেয়াদ বাড়ান আদালত। আজও তাঁরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন। আদালত তাঁদের এই আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান গত বছরের ২৬ নভেম্বর কামরুলসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি করেন। মামলাটি করা হয় কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ।
মামলায় বলা হয়, পোটন ট্রেডার্স সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) সঙ্গে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী সার সরবরাহ করার কথা ছিল, কিন্তু তারা চুক্তি ভঙ্গ করে। সরবরাহ না করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ৫৮১ কোটি ৫৮ লাখ ৯ হাজার টাকার সার আত্মসাৎ করেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে লিখিতভাবে বলেছেন, তাঁরা নিরপরাধ।