নিহতদের স্মরণ গান, নাটক, বিক্ষোভে

‘আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হব’ জহির রায়হানের লেখা আরেক ফাল্গুন উপন্যাসের সংলাপ। এই সংলাপে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে বারবার তুলে ধরেছেন। গতকাল সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেই সংলাপই লিখছিলেনছবি: আনিস মাহমুদ

গণসংগীত, পথনাটক, দেয়াললিখন, স্মৃতিচারণা ও বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ অন্তত ১৬টি জেলা ও মহানগরে এসব কর্মসূচি পালনের খবর পাওয়া গেছে। এসব কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কোথাও কোথাও শিক্ষক ও আইনজীবীরাও অংশ নেন।

এসব কর্মসূচি ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কোথাও কোথাও কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি স্থানে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য পরে তাঁদের অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ-সংঘাত, সহিংসতা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

গত বুধবার রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে বলা হয়, নির্যাতনের ভয়ংকর দিন-রাতের স্মৃতিচারণা, নিহত ও আহত ব্যক্তিদের নিয়ে পরিবার ও সহপাঠীদের স্মৃতিচারণা এবং আন্দোলন ঘিরে নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে চিত্রাঙ্কন বা গ্রাফিতি, দেয়াললিখন, ফেস্টুন তৈরি ইত্যাদির মাধ্যমে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে অনলাইন ও অফলাইনে এ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়। গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের একদল শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি টিএসসি হয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নিপীড়নের প্রতিবাদে’ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমাবেশে শিক্ষকেরাও

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরাও যোগ দেন। এ ছাড়া সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে সাভারের বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষকেরা অংশ নেন। পরে সেখান থেকে প্রতিবাদী গানের মিছিল বের করেন তাঁরা।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে পুরোনো ফজিলাতুন্নেছা হলসংলগ্ন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিহতদের স্মরণে নবনির্মিত ছাত্র-জনতা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে যায়। পরে সেখানে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একই স্থানে পারফরম্যান্স আর্ট পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক আরিফ সোহেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল–পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী লিয়নসহ গ্রেপ্তার সব শিক্ষার্থীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া বক্তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

আরও পড়ুন

সিলেটে পৌনে ৩ ঘণ্টা মহাসড়কে অবস্থান

সিলেটে বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পুলিশের অবস্থানের কারণে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সুরমা আবাসিক এলাকায় ও অন্য একটি অংশ কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের দিকে ছিল। সোয়া তিনটার দিকে কিছু শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন সড়কে জড়ো হতে চাইলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের দিকে যেতে থাকলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী গান, স্লোগান, সড়কলিখনের কর্মসূচি পালন করেন।

ময়মনসিংহে পুলিশের বাধা, সড়কে বিক্ষোভ

ময়মনসিংহে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে টাউন হল এলাকায় শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল সড়কের প্রবেশমুখে টাউন হল এলাকার সড়কে বিক্ষোভও করেন তাঁরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

বেলা একটার দিকে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালে সড়কে এঁকে দেওয়া হয় প্রতিবাদী স্লোগান। শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল ফেস্টুন। কবিতায়, গানে, কথায় প্রতিবাদ চলতে থাকে। হত্যার বিচার, নির্যাতনের বর্ণনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন বক্তারা। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকেরা এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন।

পুলিশের বাধায় কর্মসূচি পণ্ড

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের বাধায় ‘ছাত্র-শিক্ষক সংহতি সমাবেশ’ কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা জানান, বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দেওয়া হয় এবং সেখানে অবস্থান নেয় পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে যান। তখন সেখান থেকে ১২ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। প্রায় চার ঘণ্টা পর এই শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

বরিশাল নগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি আব্দুর রহমান বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, কারফিউ চলাকালে সভা-মানববন্ধনসহ জনসমাগম নিষিদ্ধ। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হচ্ছিলেন। তাঁদের ওপর আক্রমণ ও বাধা আসতে পারে—এই আশঙ্কায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছিল। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং শিক্ষকদের জিম্মায় তাঁদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় শহীদ মিনার ও বালুর মাঠ এলাকায় শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিকর্মীরা কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।

গাইবান্ধা ও হবিগঞ্জে সড়ক অবরোধ

কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তাঁরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁদের এ কর্মসূচিতে জেলা সদরের বৃন্দাবন সরকারি কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

গাইবান্ধায় শিক্ষার্থীরা জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা মুঠোফোনে বলেন, বিক্ষোভকারীরা সড়কে একত্র হয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করতে থাকেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

পুলিশের বাধা, বৃষ্টিতে ভিজে সমাবেশ

কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান সড়ক ঘুরে কলেজ মোড়ে বিজয়স্তম্ভের সামনে সমাবেশের কথা ছিল শিক্ষার্থীদের। কিন্তু পুলিশ তাঁদের সড়কে উঠতে দেয়নি। পরে বৃষ্টিতে ভিজে বিদ্যালয়ের মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে নোয়াখালীতে কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বেলা পৌনে তিনটা থেকে শিক্ষার্থীরা নোয়াখালী শহরের মাইজদীর মোহাম্মদিয়া মোড় এলাকায় অবস্থান নেন। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি কলেজ, চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ, নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে প্ল্যাকার্ড ও জাতীয় পতাকা ছিল।

বৃষ্টির মধ্যেই কর্মসূচি পালিত হয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শিক্ষার্থীরা গলায়-হাতে শিকল বেঁধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান। লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড় এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করেন। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে।

কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সাড়ে তিনটা থেকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকসংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবন, ডায়ানা চত্বর ও অনুষদ ভবন ঘুরে শহীদ মিনারে গিয়ে সমবেত হয়। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা নির্যাতনের স্মৃতিচারণা করেন।

গণসংগীত, দেয়াললিখন, মৌন মিছিল

কখনো সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত, আবার কখনো গণসংগীত। মাঝেমধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ-সংঘাতে নিহতদের স্মরণ করে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি জানানো হয়। এভাবে বগুড়ায় দিনভর কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পঞ্চগড় শহরের শিক্ষার্থীরা হতাহত ব্যক্তিদের স্মৃতিচারণা, পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দেয়ালে দেয়াললিখন এবং ফেস্টুন তৈরি করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্দোলনকারীরা বিকেল পৌনে চারটায় শহরের শান্তির মোড় থেকে মিছিল শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বঙ্গবন্ধু মঞ্চের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গণসংগীত, পথনাটক ও গীতি আলেখ্য পরিবেশন করা হয়।

জাগরণের গান, আবৃত্তি, নাটিকা ও মোমবাতি প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ে। এতে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, তাঁদের অভিভাবক ও নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।

নতুন কর্মসূচি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ শুক্রবার ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গতকাল সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এই কর্মসূচির কথা জানান এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের। এতে বলা হয়, আজ সারা দেশের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া-কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা ও জুমার নামাজ শেষে ছাত্র-জনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সব স্তরের নাগরিকদের এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পরে রাতে আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম ওই কর্মসূচির কথা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা]